পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

აა8 বঙ্গ মহিলা । [ ২য় খ, ৩য় সং । . পান করিয়া ক্ষুধা নিবৃত্তি করে এবং দিন দিন বল প্রাপ্ত হয়। দুগ্ধ সারক এবং এক বা হুই বলকৃ জ্বাল দিয়া খাইলে বিশেষ উপকারী হয়, অধিক জ্বাল দিয়া ক্ষীর করিলে পীড়াদায়ক হইতে পারে। অামাদের দেশে মাংসের ব্যবহার সামান্য থাকাতে, হন্ধ অপেক্ষাকৃত অধিক আদরণীয়। আমাদের প্রধান আছারই দুগ্ধ। দুগ্ধ হইতে নানাবিধ বস্তু প্রস্তুত হয়, যঃ স্থত, মাখন, সর চাচী, ঘোল, দধি, ছানা, ক্ষীর ইত্যাদি । এক্ষণে দেথা যাউক, আমিষ ভোজন করা মনুষ্যের পক্ষে উচিত কি না। আমরা দেখিতে পাই, পৃথিবীর ভিন্ন ভিন্ন জাতি ভিন্ন ভিন্ন প্রকার খাদ্য ব্যবহার করে। কেহ কেবল উদ্ভিজ্জভোজী, কেহ অামিষভোজী এবং কেহ মিশ্রভোজী অর্থাৎ উদ্ভিজ্জ ও আমিষ দুই ব্যবহার করে । মমৃষ্যের পক্ষে আমিষ ভোজন নিতান্ত প্রয়োজনীয় না হউক, অস্বাভাবিক বলিয়া বোধ হয় না। আমাদের দেশে অধিকাংশ লোক কেবল উদ্ভিজ ভক্ষণ করিয়া শরীরের পুষ্টিসাধন করে এবং প্রাণিহত্যা করিয়া আমিষ ভক্ষণ করাকে নিতান্ত নিকৃষ্ট ও অস্বাভাবিক কাৰ্য ৰলিয়া মনে করে। উদ্ভিজ্জভোজীগণ তর্ক করিয়া থাকেন যে, জীৰহিংসা করিয়৷ আমিষ ভক্ষণ করা পরমেশ্বরের অভিপ্রেত নহে, এবং মাংস মনুষ্য পণকযন্ত্রের উপযোগী বলিয়া বোধ হয় না। ইহার উত্তরে কেবল এইমাত্র বলা যাইতে পারে যে, বহুকাল হইতে সমস্ত মনুষ্যজাতি আমিষপ্রিয় বলিয়া বোধ হয় এবং দেশ বিশেষে কোন কোন জাতি উদ্ভিজ অভাবে কেবল আমিষ ভক্ষণ করিয়া জীবন রক্ষণ করিতে বাধ্য হয় । শীতপ্রধান দেশের যেস্থানে উদ্ভিজ অতিশয় দুষ্প্রাপ্য, লোকদিগকে উদ্ভিজ্জের অভাবে কেবল মাংসের উপর নির্ভর করিতে হয় । উষ্ণ প্রধান দেশে উদ্ভিজ্জের আতিশয্য থাকাতে সে স্থানের লোকেরণ অণহারের নিমিত্ত প্রণয় উদ্ভিজ্জের উপর অধিকাংশ নির্ভর করে। আবার সমর্শীতোষ্ণ দেশে প্রাণী এবং উদ্ভিজ্জের ভাগ সমতুল্য থাকাতে সে স্থানের