পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sy दछबश्य। জ্যোতিষ-বিদ্যা জানি বলিয়া কতকগুলি লোক অপরের নিকট ভণি করে, , গরিমা প্ৰকাশ করে, অশ্বরকে প্রতারণা করিয়া অৰ্থ-গ্ৰহণের চেষ্টা পায়, ইহাই , জীবনবন্ধু জানিতেন ; হারাণ ঠাকুরের কথাগুলি শ্রবণ করিয়া একবার তাহার মনে সেই ভাব আসিল, পরীক্ষণেই আবার হারাণ ঠাকুরের দুই একটা বাক্যের গুঢ় মৰ্ম্ম হৃদয়ঙ্গম করিয়া সে তাবের পরিবর্তন হইয়া গেল। প্ৰণাম করিয়া ঠাকুরকে তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, “জন্মাবধি আপনাকে আমি চক্ষে দেখি নাই, আপনার আশ্রমে আমি আগস্তক, আমাকে দেখিয়াই সৰ্ব্বপ্রথমে আপনি প্রশ্ন করিয়াছিলেন, “আপনি এখানে কতক্ষণ ?” সেই প্রশ্ন শ্ৰবণ করিয়াই আমার বিস্ময় জন্মিয়ছিল। আপনি আমায়। ক্ষমা করিবেন, সাহস করিয়া আমি জিজ্ঞাসা করিতেছি, অকারণে আমি বিপদগ্ৰস্ত, ইহা আপনি কি প্রকারে জানিতে পারিয়াছেন ? আকস্মিক বিপদের প্রকৃতি কিরূপ, দয়া করিয়া তাহা যদি আপনি আমাকে বলিয়া দেন, তাহা হইলে আমার মানসিক যন্ত্রণার অনেকটা লাঘব হয়। অহরহ আমি অন্তদাহে দগ্ধ হইতেছি, সেই দাহ যাহাতে নিবারিত হইতে পারে, সেইরূপ মহৌষধ জ্ঞাত হইবার নিমিত্ত আমার অন্তরাত্মা ব্যাকুল।” ... পুনরায় জীবনবন্ধুর ললাট দর্শন করিয়া হারাণ ঠাকুর বললেন, “ব্যাকুলত৷ পরিত্যাগ করুন। আমি আপনার অন্তরাত্মাকে আপাততঃ শান্তিজলে স্নান করাইতেছি। আপনি একজন ভূম্যধিকারীর উদ্যান-বাটিকায় অবস্থান করিতেছিলেন, সেই ভূম্যধিকারী আপনাকে যথেষ্ট ভালবাসিয়াছিলেন, সেই ভালবাসায় । ঈর্ষান্বিত হইয়া, ভূম্যধিকারীর একজন প্রিয়পাত্র আপনাকে বিপদে ফেলিবার পন্থা অন্বেষণ: করিতেছিল ; আজীবন আপনি নিষ্কলঙ্ক, কাৰ্য্যে অথবা বাক্যে । কোন প্রকার ছল প্রাপ্ত না হইয়া সেই দুষ্টবুদ্ধি চক্ৰীলোক মনে মনে নানা চক্ৰ দৃষ্টি করিতে থাকে, সে চক্রের ঘূর্ণনে আপনাকে অবসন্ন করিতে পারে নাই ; তাহার পর, সেই লোক একটা সুযোগ প্রাপ্ত হয়। যেখানে আপনি ছিলেন, . তাহার এক ক্রোশ ঘুরে একটী বিধবা স্ত্রীলোকের বাটীতে এক রাত্রে ডাকাত । পড়িয়াছিল, বিধবার প্রাণ-সংহার করিস্কা ডাকাতেরা তাহার। সৰ্ব্বস্ব লইয়া দূরদেশে । পলায়ন করে। যাহারা শান্তি-রক্ষক নাম ধারণ করিয়া, অজ্ঞাত অপরাধের অনুসন্ধানে প্রত্নত্ত হয়, এক এক সময় তাহারা এক এক প্রকার ভেন্ধীতে বিমোহিত । হইয়া নির্দোষ লোকের সর্বনাশসাধনে ব্যাপৃত হইয়া পড়ে ; তাহারা নিজেও -