পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- *** *थभ उग्रव । । 5 Gorys সুস্থির হইয়া জীবনবন্ধু ঐ উপদেশগুলি শুনিলেন, পালন করিকেন, বলিয়া *অঙ্গীকার করিলেন। সে দিন। আর যাত্রা করা হইল না, পরদিন পঞ্জিকা বাহির করিয়া হারাণ ঠাকুর একটা শুভদিন দেখিয়া দিলেন, সেই শুভদিনে ঠাকুরকে প্ৰণাম করিয়া, কুসুমকুমারীকে মিষ্টবাক্যে তুষ্ট করিয়া জীবনবন্ধু বিদায় গ্ৰহণ করিলেন। পাখেয়ের অভাব হইবে বিবেচনা করিয়া হারাণ ঠাকুর তঁহাকে কুড়িটী টাকা দিলেন, নীরবে কিয়ৎক্ষণ চিন্তা করিয়া, টাকা কয়েকটি গ্রহণপূর্বক জীবনবন্ধু বলিলেন, “অ্যাপনার আশীৰ্ব্বাদে বিপন্মুক্ত হইলে পুনরায় আসিয়াঃ । চরণ দর্শন করিব।” হারাণ ঠাকুর পুনরায় আশীৰ্ব্বাদ করিলেন। অদূরেই গঙ্গা । জীবনবন্ধু গঙ্গাতীরে। একটা বৃক্ষমূলে উপবেশন পূর্বক ভাবতারণের উষ্ঠান হইতে হারাণ ঠাকুরের গৃহবাস পৰ্য্যন্ত সমস্ত বৃত্তান্ত আলোচনাঃ করিয়া জীবনবন্ধু পরস্পর-বিরোধী অনেকগুলি ঘটনা একত্র মিলাইলেন। যাহাঁদের সহিত পূর্বে পরিচয় ছিল, তাহদের ব্যবহার আর যাহারা নিজ-সম্পর্ক, তঁহাদের ব্যবহার ভিন্ন ভিন্ন প্রকার বোধ হইল। গিরিশিখর গুপ্ত তঁহার বন্ধু, হারাণ ঠাকুর একজন অপরিচিত ব্ৰাহ্মণ ; গিরিশিখর মুখে দুটা মিষ্টকথা না; বলিয়াই মিথ্যা একটা অছিলা করিয়া ধূলাপায়েই বিদায় করিয়া দিলেন, আর এই হারাণ ঠাকুর কতদূর উপকার করিলেন, ইহা তাহার মনে আসিল। হারাণ ঠাকুর টাকা দিলেন, সুসময় হইলে সে টাকা তিনি পরিশোধ করিবেন, এরূপ ইচ্ছা থাকিল। অর্থ-সম্বন্ধে স্বতন্ত্র কথা, যে গুহ কারণে তিনি বিপদগ্ৰস্ত, যে গুহকারণের অজ্ঞানতা প্ৰযুক্ত যন্ত্ৰণানলে তিনি দগ্ধ হইতেছিলেন, হারাণ ঠাকুর সেই কারণ প্রকাশ করিয়া দিলেন। জ্বলন্ত আগুনে, শান্তিজল নিক্ষেপ করালেন। যদিও তিনি তৎক্ষণাৎ বিপদমুক্ত হইলেন না, কিন্তু মিখ্যা কথা অধিক দিন ঢাকা থাকিবে না, সেই আশ্বাসে তিনি শীতল হইলেন। গিরিশিখর কি করিলেন ? ভাগীরথীকে সাক্ষী করিয়া বার বার জীবনবন্ধু আপন মনে প্রশ্ন করি।-- লেন, “এ কালের বন্ধুলোকের কি এই ব্যবহার ?” দ্বিতীয়বার প্রশ্ন করিলেন, “এখন আমি যাই কোথায় ?” . . মা গঙ্গা এ প্রশ্নের উত্তর দিলেন না, জীবনবন্ধু নিজেই উত্তর দিলেন। হারাণ । ঠাকুরকে বলিয়াছিলেন, তীর্থযাত্ৰা করিবেন। : কোন তীর্থে গেলে সুখী হইতে পান্নিবেন ? গিরিশিখরের অভদ্রতা স্মরণ কমিক্স যাহা বলিয়ঃ মনকে বুঝাইলেন,