পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'So 丐烈更翌*“ এইরূপ ভাবিতে ভাবিতে চৌকীদারের সঙ্গে জীবনবন্ধু উষাকালে রাজবঙ্গ ষ্টেশনে পৌছিলেন, টিকিট কিনিয়া শকটে আরোহণ করিয়া যথাসময়ে মোগল-“ সরাই ষ্টেশনে উপস্থিত হইলেন ; তথা হইতে আউধ-রোহিলখণ্ড রেলওয়ের স্বতন্ত্র শকটে আরোহণ করিয়া বারাণসী রাজঘাটে উপস্থিত। সেই স্থানে আট দশ জন গঙ্গাপুত্ৰ ভঁহাকে ঘিরিয়া দাড়াইল। এক্কা ভাড়া করিয়া দিবে, বাসা ঠিক করিয়া দিবে, ঠাকুর দেখাইবে, এই সকল তাহাদের কথা । জীবনবন্ধু তাহাদের মধ্যে একজনকে একটু তালমানুষবিবেচনা করিয়া, তাহাকে বলিলেন, “বাসা করিতে হইবে না, সোণারপুৱা মহল্লার রামজীবন পাঠকের বাড়ীতে আমি যাইব, তুমি সেইখানে আমাকে লইয়া চল, আমি তোমাকে চারি আনা পয়সা দিব।” সেই লোকটর নাম জংলু। চারি। আন পুরস্কারের নামে সস্তুষ্ট হইয়া, জংলু একখানা এক্কা ভাড়া করিয়া জীবনবন্ধুকে সোণারপুরায় লইয়া গেল ; রামBDD KDB BD DBDDB KB DDSBB DDBD BBDB D tD আন বক্সীস লইয়া ফিরিয়া আঞ্জিল। জীবনবন্ধু স্বদেশে যখন ইংরাজী বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করিতেন, ঐ রামজীবন পাঠক সেই সময়ে সেই বিদ্যালয়ের পণ্ডিত ছিলেন ; জীবনবন্ধু ভঁাহার নিকটে চারি বৎসর কাল ব্যাকরণ ও সাহিত্য শিক্ষা করিয়াছিলেন। রামজীবন তঁহাকে বড় ভালবাসিতেন। দশ বৎসর হইল, রামজীবন পাঠক কাশীবাস করিয়াছেন, জীবনবন্ধু তাহা জানিতেন। সোণারপুরায় তিনি থাকেন, পত্র দ্বারা তাহাও তিনি জানিতে পারিয়াছিলেন। যখন তিনি উপস্থিত হইলেন, রামজীবন তখন বাড়ীতে ছিলেন না ; তঁহার দুটি পুত্র একটি ঘরে বসিয়া ইংরাজী পুস্তক পাঠ করিতেছিল। তাহারা জীবনবন্ধুকে চিনিত না, চিনিল না ; কিন্তু মেভ্যর্থনা করাইয়া ৰসাইয়া শিষ্টাচারে নাম ধাম জিজ্ঞাসা করিল ; স্নান-আহার হয় নাই শুনিয়া স্নানের আয়োজন করিয়া দিল ; জীবনবন্ধু স্নান করিলেন। বালকেরা জলখাবার আনিয়া দিল, তিনি জল খাইতেছেন, এমন সময় পাঠক মহাশয় বাকী আসিলেন, অপ্রত্যাশিতরূপে প্রিয় ছাত্রকে নিজালয়ে দর্শন করিয়া পয়ম সন্তুষ্ট হইলেন, আদর করিয়া কুশলবার্তা জিজ্ঞাসা করিলেন। যতদূর কুশল, যতদূর অকুশল, জীবনবন্ধু সংক্ষেপে সংক্ষেপে পণ্ডিত মহাশয়কে তাহা জানাইলেন। উপস্থিত বিপদের স্বরূপ কি, তাহা তিনি নিজে জানিতেন