পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*演守鄂曹十 না, সুতরাং "সম্প্রতি একটা বিপদগ্ৰস্ত হইয়াছি।” এই মাত্র বলিয়াই তাহাকে নিস্তব্ধ থাকিতে হইল। পাঠক মহাশয় বলিলেন, “তোমার কোন চিন্তা নাই। তোমার প্রকৃতি আমি জানি, তুমি কোন অপরাধ করিতে পার না । তোমার দ্বারা কাহারও কোন- । রূপ অনিষ্ট হওয়া অসম্ভব। মিথ্যা অপবাদে যদি তুমি বিপদগ্ৰস্ত হইয়া থাক, কুজ বন্ধটিকা লরিয়া গেলে সুৰ্য যেমন অধিক তেজে প্রকাশিত হন, তোমার অপাৰ । বাদরূপ কুঞ্জ ঝটিকা বিদূরিত হইলে তুমিও সেইরূপ সুৰ্য্যের ন্যায় বিমল দীপ্তি । প্রাপ্ত হইবে। যতদিন ইচ্ছা, আমার এখানে তুমি স্বচ্ছন্দে থাকিতে পাের।” আহারাদি হইল। বৈকালে জীবনবন্ধুকে নিকটে বসাইয়া নানা কথা-প্রসঙ্গে । পাঠক মহাশয় তাহার থাকিবার বন্দোবস্ত করিয়া দিলেন। রামজীবন পাঠক স্বদেশে যদিও স্কুল-পণ্ডিত ছিলেন, তঁহার অধিক আয় ছিল না, কিন্তু ঊর্তাহায় মাতামহের মৃত্যুর পর তিনি তদীয় বিষয়ের উত্তরাধিকারী হন। মাতামহ নিঃসন্তান ছিলেন, তঁহার বিষয়ের আয় ছিল বার্ষিক পাঁচশত টাকা । রামজীবন স্বদেশে বাস করা অসুখের হেতু মনে করিয়া, সেই সকল বিষয় বিক্রয় করেন ; অনন্তর স্ত্রী-পুত্ৰ লইয়া কাশীবাস করিয়াছেন। কাশীতে বাড়ী খুব সন্তা, সোণারপুরা মহল্লায় তিনি দুইখানি বাড়ী খরিদ করিয়া রাখিয়াছেন। একখানিতে সপরিবারে বাস করেন, দ্বিতীয়খানি ভাড়া দেওয়া হয়। যে সময় জীবনবন্ধু উপস্থিত। হইয়াছিলেন, ভাড়াটিয়া বাড়ীখানি সে সময় খালি ছিল ; সেই বাড়ীতেই জীবনবন্ধুর থাকিবার ব্যবস্থা করা হয়, সেই বাড়ীতেই তিনি রহিলেন। রামজীবনের বাসভবনেই আহারাদি চলিতে লাগিল, নিশাকালে সেই নির্দিষ্ট বাড়ীতে শয়নের বন্দোবস্ত । অবকাশকালে জীবনবন্ধু সেই বাড়ীতে পুস্তকাদি পাঠ করিতেন, , মনে যাহা উদয় হইত, সেই সকল বিষয় লিখিয়া লিখিয়া রাখিতেন ; ভবতারণের | উস্তান হইতে প্ৰস্থান করিবার পর যে দিন যেখানে যাহা ঘটিয়াছিল, একখানি । খাতায় তাহাও লিখিয়া রাখিতে আরম্ভ করিলেন। বিদ্যালয় হইতে আসিয়া রামজীবনের পুত্রেরা জীবনবন্ধুর বাড়ীতে গিয়া বধিত, পড়া জানিয়া লইত, কোন বস্তু আবশ্যক হইলে বালকেরাই তাহা আনিয়া দিত। ৰাসবাটী হইতে: | সে বাটী অধিক দূৱ ছিল না ; রামজীবন নিজেও দিনের মধ্যে দুইবার সেই । বাড়ীতে গিয়া তত্ত্বাবধান করিয়া আসিতেন। - ।