পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*X @3寶 ※° প্ৰাতঃকালে সেই রমযাদু আর, শ্ৰীকৃষ্ণ পাড়ার পাঁচজন ভদ্রলোককে সঙ্গে •লইয়া জীবনবন্ধুর সহিত সাক্ষাৎ করিল। একটী ভদ্রলোক জীবনহন্ধুকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “হইয়াছে কি ? তোমার চেহারা এমন কেন ? এতদিন কোথায় ছিলে ?” জীবনবন্ধু উত্তর করিলেন, “হইয়াছে কি, তাহা আমি জানি না। অজ্ঞাত অদৃশ্য লোকেরা যেখানে সেখানে আমার উপর নানাপ্রকার দৌরাত্ম্য করিয়াছে, সম্মুখে কেহ দেখা দেয় माछे । अभि नामाश्ाान द्धभ° করিয়াক্তি, কোথাও একটু শাস্তি পাই নাই, চেহারা কেমন হইয়াছে, দর্পণে তাহা আমি দেখি নাই ; যদি বিকৃত ३छेक्षा থাকে, সেটা কেবল দুর্ভাবনার যা লা।” ভদ্রলোকটী মুখ টিপিয়া হাম্ভ করিলেন, ভ্ৰকুটিভঙ্গী করিয়া কহিলন, “কিছুই নয়, মনের বিকাশ, বোধ হয়, বায়ু রোগের লক্ষণ, বাড়ীতেই থাক, কোথাও বাহির হইও না। বাড়ী হইতে বাহির হইলে বিপদ ঘটবে।” শ্ৰীকৃষ্ণ আর রামযাদু স্কন্ধ নাচাই । মুখ ফিরাইয়া, হাস্য করিল। ভদ্রলোকেরা চলিয়া গেলেন। ঐ দুজন খানিকক্ষণ থাকিল, বায়ু রোগের কত রকম ব্যাখ্যা করিল, পাঁচ রকম দৃষ্টান্ত দিল, এ অবস্থায় কি রকম পথ্য দিতে হয়, তাহারও ব্যবস্থা করিল, তাহার পর চলিয়া গেল। যখন তাহারা চলিয়া যায়, তখন একজন চুপি চুপি দ্বিতীয় জনকে বলিল, “বেশি হইল, বাহার-ভিতরেই 夺ö而山” জীবনবন্ধু সেই কথা শুনিতে পাইলেন, বাড়ীতেও নিরুদ্বেগে থাকিতে পারি।-- বেন না, তৎক্ষণাৎ তাহা বুঝিলেন। তাঙ্গার জ্যেষ্ঠপুত্রের বয়ঃক্রম পঞ্চদশ বর্ষ, নাম অখিলচন্দ্র। অনেক দিনের পর পিতাকে দেখিয়া অখিলচন্দ্র সম্মুখে আসিয়া একটা প্ৰণামও করিল মা, ভাল করিয়া কথাও কহিল না, ঘন ঘন বাড়ী হইতে বাহির হইয়া যাইতে লাগিল। একবার একটা লোক সঙ্গে করিয়া গোটাকতক ডাব আনিয়া ফেলল, পিসীকে বলিল, “পিসীমা, পুকুরের পাকের ভিতর এই ডাব কটা পুতিয়া রাখিয়া রোজ রোজ দুটা তিনটা তুলিয়া উহাকে খাওয়াইতে হইবে, টাটুকা মাছের ঝোল দিতে হইবে, মাথা মুড়াইয়া দিতে হইবে, বৈকালে ডাক্তার আসিয়া অন্য ব্যবস্থা করিয়া দিবেন।” • জীবনবন্ধু অবাক। স্ত্রী, ভগিনী, ভগিনী-পুত্র, ভগনী-কন্যা প্রভৃত্তি বাড়ীতে