ক্রমশঃ বাড়িল, উষাকালের হরিধ্বনি সর্ষভাবে চলিল, বাড়ীর পরিবারগা * অবহেলা, বিজ্ঞাপ, তিরস্কার দিন দিন বাড়িয়া উঠিল। একদিন প্ৰাতঃকালেক্ট্ৰক্ষার । দুই তিনজন বালক একটা কলাগাছের উপর ছেড়া কঁথা यङ्ाद्देंद्रे, चीन! . ডুগীর ন্যায় বংশের চৌকীতে রাখিয়া, মধ্যস্থলে একটা বাঁশ বঁধিয়া, কঁৰো করিয়া লইয়া, বাড়ীর মধ্যে জীবনবন্ধুর সম্মুখ দিয়া লইয়া গেল ; মুখে বলল, “বলা হরি হরি বোলা!” সেই কলাগাছের পশ্চাৎ পশ্চাৎ আট দশটা ঢাক বাজাইক আট দশজন চৰ্ম্মকার নাচিয়া নাচিয়া বাড়ীর ভিতর দিয়া অন্যদিকে চলিয়া গেল ; গাঙ্গনের সন্ন্যাসীরা যেমন নাচে, জনকতক লোক অষ্টাঙ্গে কাদা ধূলা মাখিয়া ঢ:কের তালে নৃত্য করিতে করতে জীবনবন্ধুর সম্মুখে নানাপ্রকার ভঙ্গী কায়তে লাগিল। জীবনবন্ধু ' বিষম দায়ে পড়িয়া মনের ঘূণায় গৃহমধ্যে গিয়া লুকাইলেন আরও একমাষ গেল। ক্রমশই শ্ৰীবৃদ্ধি। প্রতিদিন প্রায় পঞ্চাশ প্রকারের পঞ্চাশজন ভিখারী জীবনবন্ধুর বাড়ীর মধ্যে প্রবেশ করে, “ভিক্ষা দাও গো ব্ৰজবাসী, রাধা-কৃষ্ণ বল মন,” এই সুরে অনেক ভিখারী ভিক্ষা চায়। যে সকল ভিখারী খোল বাজাইয়া গান গাইয়া ভিক্ষা করে, জীবনবন্ধুর সম্মুখে খোলের তালে তাহারা ভয়ানক ভয়ানক গীত গায়। “ভােব লনে মন সে দিন কেমন ষে দিন জীবন যাবে রে,” “রঙ্গরসে পালংপোষে কে আর এসে শোৰে রে”; “মন.তোমারে আজ বাদে কাল ভবের পটল তুলতে হবে,” “মনে কর শেষের সে দিন ভয়ঙ্কর”, “গোবরছড়া দিয়ে দ্বারে দ্বারে বাহির করে দিবে,” “দীন দেখে হরি কেন লুকালে চরণ,” এইরূপ ভাবের যে সকল গীত শুনিলে সাধারণ মানুষের মনে ভয় হয়, ভিখারীরা সেই ভাবের গীত গাহিয়া জীবনবন্ধুকে ভয় দেখাইবার চেষ্টা করে । আরও এক তামাসা । নিত্য যাহারা ভিক্ষা করিতে আসে, তাহারা, সকলে যে সত্য ভিখারী নয়, তাহাও জীবনবন্ধু বেশ বুঝতে পারেন। গ্রামের চৌকীদার-কক্ষে ভিক্ষার ঝুলী, বাবুর বাড়ীর १.आश्राम-२उ ভিক্ষাপত্র, গৃহস্থ বাড়ীর বেতনভোগী নাপিত, তাহার কক্ষেও ভিক্ষার ঝুলী ; কুস্তকার, মালাকার, বান্তকর, রাজক, দোকানদার প্রভৃতিও ছিলের ভিখারী সাজি স্থানান। s &ግኛ } খেলাইয়া যায়। অনেক মুখ জীবনবন্ধুর চেনা, সে সব মুখের অধিকারীরা ভিখারী মহে, তাহাও জীবনবন্ধুর জানা, তথাপি “কৰে,তোৱা অধিকারী হবি।” এ প্রশ্নটীি তিনি কাহাকেও জিজ্ঞাসা করেন নাই। : . ,
