পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Уtr? 可罗灭弯卜 বাহির হইতেনাই । যে সিন্দুকে আমার গহনার বাক্সট আছে, সে সিন্দুকের চাবী আমার কাছে নাই। আজ রাত্রে আমি চাহিয়া লইয়া রাখিব, কল্যv ঠিক প্ৰস্তুত হইয়া থাকিব, কলা সন্ধ্যার পরেই-” শেষ পৰ্যন্ত না শুনিয়াই, ব্যস্তভাবে গাত্ৰো”ান করিয়া কুঞ্জবিহারী বলিলেন, “সিন্দুক ভাঙ্গিয়া ফেল। একদিন একরােত অপেক্ষা, এ দীর্ঘকাল বিরহ আমার প্ৰাণে সহ্য হইবে না, ভঙ্গিয়া ফেল । তুমি না পার, আমিই ভাঙ্গিয়া ফেলিতেছি।” এই বলিয়া কুঞ্জবিহারী গৃহর ইতস্তত চঞ্চলসৃষ্টি ঘুরাইতে ফিরাইতে লাগিলেন ; একটা তাকের উপর তবলা-ঠোকা একটী হাতুড়ী ছিল, সেইটা হাতে করিয়া লইলেন। যে সিন্দুকটা ভাঙ্গিবার কথা, সে সিন্দুকে গা-চাবী ছিল না, শিকল দিয়া তালা বন্ধ করা ছিল। দুই তিন আঘাতেই কুঞ্জবিহারী সেই শিকল ভাঙ্গিয়া ফেলিলেন, গহনার বাক্সটী বাহির কঙ্গ হইল, রঙ্গিণীর দুইপ্রস্থ পোষাক সেই সিন্দুকে ছিল, তাহাও বাহির করা হইল, রঙ্গিণী। কিন্তু পোষাক পরিলেন না, একখানি ময়লা কাপড় পরিয়া বাট হইতে বাহির হইলেন। বাক্স ও বস্ত্ৰাদি লইয়া কুঞ্জবিহারী একটু দূরে দূরে পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিলেন। তখন সন্ধ্যার আবরণ পড়িয়াছিল। রাস্তা দিয়া দুই চাবিজন লোক চলিতেছিল, অন্ধকারে কে কোথায় যায়, বিশেষ প্রয়োজন না থাকলে কে, কাহার খবর রাখে ? কে কাহাকে জিজ্ঞাসা করে ? বিহঙ্গিনী উড়িতেছে, কেহই লক্ষ্য করিল না, কেহই কিছু জিজ্ঞাসা করিল না ; পশ্চাৎ পশ্চাৎ একটী বাবু যাইতেছেন, তঁহার দিকেও কেহ চাহিল না, নির্বিম্নে তঁহাদের ইষ্টসিদ্ধি হইল। আগ্রে রঙ্গিণী, তাহার পর কুঞ্জৰিহারী বজরায় গিয়া উঠিলেন, দোঙ্গর তুলিয়া বদর বদর বলিয়া বজরা খুশিয়া দিল। रिशक्रिनैौ ऎङ्घ्रिव्न । স্রেত্রে বজরা আর কোথাও লাগিল না। তাহার পরদিন অপরান্ত্রে । একটা সহরে গিয়া বজরা পৌঁছিল। কুঞ্জবিহারী ইত্যগ্ৰে সেই সহরে একখানা । বাড়ী ভাড়া করিয়া রাখিয়াছিলেন, বাড়ীর দুইখানি ঘর উত্তমরূপে সজ্জিত করা ছিল, রঙ্গিণীকে লইয়া কুঞ্জবিহারী সেই বাড়ীতে উঠিলেন। এ দিকে পূৰ্বরজনীতে যথাসময়ে তারাপদ বাড়ীতে আসিয়া দেখিলেন, বাড়ী খাঁ খ্যা করিতেছে, সমস্ত দ্বার উদারমুক্ত, বাড়ীতে জন-মানব নাই, ভগ্ন সিন্দুক পড়িয়া আছে, সিন্দুকের মূল্যবান জিনিসপত্র সমস্তই গিয়াছে, সমস্তই শূন্যময়। মাথায় হাত