পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अभ ऊबश। ካ stro দিয়া তিনি বসিয়া পড়িলেন, আকাশ-পাতাল কত কি ভাবিলেন। আর ভাবিলে । কি হইবে ? স্বাধীন বিহঙ্গিনী স্বাধীন বিহঙ্গের সহিত উড়িয়া পলাইয়াছে। তারাপদ যেমন চতুর্দিক অন্ধকার &দখিলেন, নারীগণকে যাহারা স্বাধীনতা- ৷ প্রদানে নিত্য উন্মত্ত, তঁহাদের অনেককেই সেইরূপে সংসার অন্ধকার দেখিতে হইবে। এই দৃষ্টান্তটা পাঠ করিয়া তাহা যেন সকলে মনে করিয়া রাখেন। নবরঙ্গিণীকে লইয়া কুঞ্জবিহারী লাহিড়ী এক সহরে রহিলেন। থাকিতে । থাকিতে পল্লীর গুটী কতক কামিনীর সহিত নবরঙ্গিণীর আলাপ-পরিচয় হইল। পল্লীবাসিনী কামিনী অপেক্ষা নগরবাসিনী কামিন দের বিলাসবাসন এবং স্বাধীনতা- কামনা কিছু অধিক হয়। নগরবাসিনীরা পাড়া বেড়াইতে পায় না, হাওয়া খাইতে পায় না, অপর কাহারও বাড়ী" ত গিয়া গল্প করিবার অবসর পায় না, প্রায়ই তাহাদিগকে পিঞ্জরের বিহঙ্গিনার মত সর্বদা অন্তঃপুরে অবরুদ্ধ । থাকিতে হয় ; সেই কারণেই স্বাধীন হইবার জন্য তাহদের প্রাণ চায়। নব- | রঙ্গিণী সেই দলের কতকগুলি যুবতীকে লইয়া আপনাদের বাড়ীতে একটী সম্ভ করিলেন। কুঞ্জবিহারী লাহিড়ী সেই সভায় উৎসাহ দিলেন, যাহাদিগকে লইয়া সভা ক্ষের হইল, তাহারা তাহদের গুরুজনের ভয় রাখিত না ; পতিগণকে বশীভুত করিয়া রাখিয়াছিল। নাটক নতোেল প্রভৃতি যে সকল পুস্তক পাঠ করিলে স্বাধীন প্রেমে অভিলাষ বাড়ে, সেই সকল পুস্তক তাহদের অঙ্গ-ভূষণের মধ্যে গণ্য ছিল। নগরে নবরঙ্গিণা আসিয়াছেন, তিনি বিদ্যাবতী, নারী-হিতৈষিণী, নব সভ্যতার পক্ষপাতিনী, স্বাধীনতার ধ্বজাধারিণী, তঁ হার তুল্য গুণবতী হইবার বাসনায়, তঁহার মতাবলম্বিনী কামিনীগণ ঐ সকল কথা তঁাতাদের স্বামীগণের নিকটে গল্প করিল, একটী সভা হইতেছে, সেই সভায় তঁহারা যাইতে ইচ্ছা করে, এ কথা ও স্বামীগণকে জানাইল, স্বামীরাও অনুমতি দিলেন। । শনিবারে শনিবারে সভা হয়; সভার নাম ঘোমটা-নিবারিণী সভা। কতিপয়, যুবক ইতিপূৰ্ব্বে কলকাতা সহরে একটী চাদয়-নিবারিণী সভা করিয়াছিলেন, নগরবাসী যুবক অপেক্ষা মফস্বলের যুবকের সংখ্যা সেই সভায় অধিকন্তু ছিল। সভেরা দিনকতক বিনা চাদরে বিচরণ করিয়া বেড়াইলেন, তাহার পর দিন- । কতক সরু সরু চান্দরগুলি পাকাইয়া, ছােট ছোট পযুফুলের মতন করিয়া বুকপকেটে রাখতে লাগিলেন, তাহার পর আবার ঐ চাদর গুলি লম্বা করিয়া ।