ᏱᎨ8 বঙ্গরহস্য। - পাকাইয়া পারুইয়া, মাষ্ট্রপিতৃ-বিয়োগীরা যেমন করিয়া কাচা গলায় দেয়, দিনকতক সেই রকমে সাজিতে আরম্ভ করিলেন। সভা ভাঙ্গিয়া গেল। নব-' . রঙ্গিণীর cषां-निदब्रिनौ সভার পরিণাম সেই রকম হইবে কি না, সভা করিবার সময় সেটী বিবেচনা করা হইল না। নিয়মিতরূপে সভার কাৰ্য চলিতে লাগিল। : একদিনের অধিবেশনে কুঞ্জবিহারী সভাপতির আসনগ্ৰহণ করিয়াছিলেন। প্ৰথমেই নবরঙ্গিনীর বক্ততা। সভাস্থ ভগিনীগণকে সম্বোধন করিয়া নবরঙ্গিণী বলিলেন, “রমণীগণের মুখের সৌন্দৰ্যই সর্বত্ৰ শ্ৰেষ্ঠ বলিয়া পরিকীৰ্ত্তিত হয়। চন্দ্ৰমুখ, পদ্মমুখ এই দুটী কথা বলিলে, কেবল স্ত্রীলোকের মুখ আর শিশুর মুখ বুঝায়। সুৰ্যমুখ, অগ্নিমুখ অথবা ব্যাভ্রমুখ বলিলে, সে সকল মুখ দেখিবার জন্য কাহারও আগ্ৰহ জন্মিত না, তাপে অথবা ত্ৰাসে সে সকল মুখের দিকে কেহ চাহিতেও পারিত না। চন্দ্রমুখ আর পদ্মমুখ সকলেই দেখিতে অভিলাষ করে। যাহারা দেখে, তাহদের নয়ন জুড়ায়, মন প্ৰফুল্প হয়। সুন্দর সুন্দর শিশুর মুখ দৰ্শন করিয়া লোকের মনে কত আনন্দ জন্মে, লোকেরাই তাহা বুঝিতে পারে, সকলেই তাহা স্বীকার করে। আমরা কেন তবে আমাদের মুখগুলি বড় বড় ঘোমটা দিয়া ঢাকিয়া রাখি ; যে মুখ লোকে দেখিতে চায়, যে মুখ দেখিলে লোকের আনন্দ হয়, বিধাতার অনুগ্রহ সেই মুখ আমরা পাইয়াছি। ঘোমটায় সুকাইয়া রাখিয়া কেন আমরা সেই মুখের গৌরব নষ্ট করি ? সকলকে । আমরা আমাদের মুখগুলি কেন না দেখাই ?” কুঞ্জবিহারী লাহিড়ী সোৎসাহে অগ্ৰে প্ৰশংসা করিয়া করতালি দিলেন। শৃগালের কলরবের ন্যায় সভা-কামিনীয়া সেই ধুয়া ধরিয়া উচ্চৈঃস্বরে বাহবা f স্বৰূর্ন করতালি দিলেন। নবরঙ্গিণী আবার বলিতে লাগিলেন :- “সকলকে আমরা মুখ দেখাই না, যাঁহাদিগকে দেখাইলে কোন দোষের কারণ উপস্থিত হুইবার আশঙ্কা থাকে না, তাঁহাদের কাছেই আমরা আরও অধিক লজ্জা জানাইয়া মুখ ঢাকি। পিতৃতুল্য শ্বশুর, ভানুর, মামাখণ্ডর প্রভৃতি গুরুজনেরা আমাদের মুখ দেখিতে পান না, কিন্তু বাহাঁদের সঙ্গে । কোন সম্পর্ক নাই অথবা যাহারা তামাসার সম্পর্ক ধরে, তাহারা স্বচ্ছন্দে । আমাদের মুখদর্শন কন্ধুি রহস্যালাপ করিয়া থাকে। ভগিনীপতি সম্পর্ক, দেবার সম্পর্ক, পাড়ার জামাই সম্পর্ক জানাইয়া, ষত যুদ্ধাপুরুষ গৃহস্থ-ভনে ।