পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কথা প্রচার, বড়-বীেমা সেই কথা খণ্ডন করিবার অভিপ্ৰায়ে দেবরূপঞ্জীগুলিকে শিখাইয়া পড়াইয়া ঐরূপ কৌশল বিস্তার করিয়াছিলেন। পঞ্চভ্রাতা" চিরদিন সম্ভাবরক্ষা করিয়া আসিয়াছেন, পঞ্চবধু ভগ্নীভাব রক্ষা করিয়া अनिश्न, সত্য সত্য তঁহারা পৃথক হইবেন না, ইহাই মনে ছিল, কেবল বাবুগুলিকে পরীক্ষা করিয়া দেখিলেন, এই সময় তাহা বুঝাইয়া দিলেন । পঞ্চভ্রাতা সন্তুষ্ট হইলেন, সংসার বজায় রহিল। গ্রামস্থ লোকেরা অখিলবার সংসারের প্রতি ঈর্ষা প্ৰকাশ করিতেন, তঁহাদের মধ্যে কাহার-মনে কি ভাবের উদয় হইল, তঁহারাই তাহা জানিলেন ; অপরে জানিতে পারিল না। হিন্দুশাস্ত্ৰমতে নারী সংসারের লক্ষ্মী, যে সকল নারীতে নারীজাতির সমস্ত। সুলক্ষণ বিদ্যমান, সে সকল নারী কদাচি সংসার ভাঙ্গিবার ইচ্ছা করেন না, ऐश চিরপ্রসিদ্ধ কথা । একান্নভুক্ত পরিবারে কত সুখ, ভারতের হিন্দুৱাই। তাহা জানেন। আজকাল ইংরাজী বিদ্যার সঙ্গে সঙ্গে দেশের মধ্যে ইংরাজী । সভ্যতা প্রবেশ করিয়াছে ; ইংরাজেরা ভাই ভাই পৃথক্ হয়, বিৰিন্ধাই তাহাদেৱ সৰ্ব্বস্ব, সেই দৃষ্টান্ত দেখিয়া শুনিয়া ইংরাজী-শিক্ষিত যুবকেরা তাহার অনুকরণ ভালবাসিতেছেন, সেই কারণেই দেশে এত বঁাটোয়ারার - ধুমধাম পড়িয়া গিয়াছে। কথার পৃষ্ঠে কথা পড়িলে কিছু উচ্চকথা BBBD DDD SS SDBBSDB DBDBDB KDt SDBBDS DDDB gBBD DDB EBS ইহা তাহদের দেশাচার। কেবল ইহাই নহে, অনেকে মাতা-পিতার সংস্রব। পৰ্যন্ত পরিত্যাগ করে। এখানেও একটা দৃষ্টান্ত মনে পড়িল। একটী বৃদ্ধ সাহেব। একদা বিদেশভ্রমণে বহির্গত হইয়া এক রাত্রে এক হোটেলে উপস্থিত হন। সেই হােটেলের কৰ্ত্ত তাহার নিজের ঔরসপুত্র। বৃদ্ধ সেই রাত্রে সেই হােটেলে ভোজন করিয়া সেইখানেই নিশা-যাপন করিয়াছিলেন। পরদিন প্ৰাতঃকালে যখন তিনি বিদায় হন, তাহার সেই হোটেলওয়ালা পুত্র একখানি বিল প্ৰস্তুত করিয়া । পিতার সাথে ধরেন, বিলের অঙ্ক পাঁচ পাউণ্ড। তখনকার হিসাবে এ দেশের পরিমাণে পঞ্চাশচী রৌপ্যমুদ্রা। বিনা বাক্যব্যয়ে বৃদ্ধ পিতা তৎক্ষণাৎ পাঁচটা সুবর্ণ মুদ্র বাহির করিয়া দিয়া বিদায়গ্ৰহণ করেন। * "এখন যেরূপ দিনকাল পড়িয়া আসিতেহে, তাঁহাতে এ দেশেও যে সেইরূপ পিতৃভক্তি উজ্জ্বল হইয়া উঠিবে, তাহার : পূৰ্বলক্ষণ দৃষ্ট হইতেছে। ইতিমধ্যেই