পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

鸭国岛哥鄂1 R যে গ্রামে বেঁাচার জন্ম, সে গ্রামের মুর্থ-লোকেরা বলাবলি করে, “বোপেীয় দোষেই ছেলেটা গেল। বাবা ঠাকুর এতদিনের পর তাহাকে যমালয়ে। देशां 衍哥忆更可” . . . . . . . .اند যে যাহা বলে বলুক, ভাগ্যলিপি সৰ্ব্বত্র বলবান; দুষ্কৰ্ম্মান্বিত হইয়াও ৰোচা, দিন দিন অন্যপ্রকার ভাব ধারণ করিতে লাগিল। রাসমণি তাহাকে যত্ন করে, ভাল ভাল সামগ্ৰী খাইতে দেয়, ভাল ভাল কাপড় পরায়, নিত্য দান করায়। বোচার বন্যভাব ক্রমে ক্রমে ঘুচিতে লাগিল, দুই একটা নেশাও ছাড়িল, কিন্তু পাখীবেচা ছাড়িল না। রাসমণি মনে মনে মন্ত্রণা করিল, যাহা হইবার হইয়া গিয়াছে, বোচাকে সংসারী করিয়া দিতে হইবে। রাসমণির বয়স অধিক নয়, दए জোর ত্ৰিশ বৎসর-বাল্যবিধবা। পূর্বে তাহার চরিত্র নষ্ট হয় নাই, বেচার প্রতি তাহার মন বসিয়াছিল, চরিত্র দুষিত হইবার সম্ভাবনাও ছিল, কিন্তু সাবধান হইয়া সামলাইয়া গেল। মূলকথা ধারতে হইলে উভয়ে একজাতি। গ্রামের মধ্যে সজাতীয়া একটী বালিকার সহিত বোচার বিবাহসম্বন্ধ স্থির করিয়া রাসমণি তাহার বিবাহ দিতে মনস্থ করল। বেঁাচার পিতা বড়মানুষ, সে গ্রামের লোকেরাও তাহা জানিত ; পিতার ঐ একমাত্র পুত্র, স্বভাবের পরিবর্তন হইলে বেঁাচাই পৈতৃক সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হইবে, সেই বিশ্বাসে গ্রামের একজন গৃহস্থ ধীবর বোচাকে কন্যাদান করিতে সন্মত হইল । ‘রাসমণির বাসনা পূর্ণ হইল ; একটী ভাল দিন দেখিয়া সেই ধীৰৱেশ সহিত বেঁাচার বিবাহ দিল। বোচার মুতাপিতা এ সংবাদ কিছুই পাইলেন না। যে কন্যাটীর সহিত বোচার বিবাহ হইল, সেটী সুরূপা, সুলক্ষণা ; নাম তরঙ্গিণী । বিবাহের পর রাসমণি সেই তরঙ্গিণীকে আপনার বাড়ীতে আনিয়া রাখিল। রাসমণির দুইখানি ঘর ; মাটীর প্রাচীর দিয়া চারিদিক ঘেরা, একখানি ঘরে রাসমণি থাকে, দ্বিতীয় ঘরখানিতে ধোঁচ। আর "তরঙ্গিণী।। তরঙ্গিণীর বয়স দশ বৎসর। । পাখী ধরিয়া বিক্রয় করা বেঁাচার কাৰ্য্য। ক্রমে ক্ৰমে সেই ব্যবসায়ে তাহার হন্তে কিছু টাকা জমিল, টাকা হইলেই লোকের কাছে একটু আদর হয়, সপ্তদশ বৎসর বয়ঃক্ৰমে বোচার বেঁচাে নাম ঘুচিল, বেঁচাে তখন কুঁচু হইল হািসকলেই তাহাকে বুচু বলে, আদর করিয়া কেহ কেহ বুচুরাম বলিয়া মান বাড়ায়। ছোট