পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছোট পক্ষী বিক্রয় কৰিলে অধিক লাভ হয় না, যাহাক পাখী খায়, তাহাত্মা ভিন্ন আর কেহ তাহা খরিদ করিতে চায় না, কুঁচু তাহা বুঝিল । মেদিনীপুর | অঞ্চলে জঙ্গল অনেক, জঙ্গলে জঙ্গলে ভাল ভাল পাখী ধরিয়া বুচু তখন সৌখীন লোকের কাছে বিক্রয় করিতে আরম্ভ করিল। সে তখন আর নিজে পাখীর ভাৱ । স্কন্ধে লইয়া লোকের বাড়ী যাইত না, রাসমণি একজন চাকর রাখিয়া দিয়াছিল, ৰুচুরাম সেই চাকরকে সঙ্গে লইয়া ব্যবসা চালাইত। যে সকল পার্থী পুষিয়া পক্ষীপ্রিয় ভদ্রসন্তানের আনন্দ অনুভব করেন, দেশী বেশী মূল্য দিয়া डैशब्र। কুচুর নিকট হইতে কোকিল, পাপিয়া, টিয়া, ময়না, শ্যামা প্রভৃতি। সুন্দর সুন্দর পক্ষী কিনিয়া লইতে লাগিলেন। পক্ষিব্যবসায়ে বুচুর তখন বেশ লাভ হইতে লাগিল। এইরূপ তিন বৎসর। কুঁচুর বয়স বিংশতি, তরঙ্গিনী ত্ৰয়োদশবৰ্ষীয়। রাসমণির । माग्रैब्र বাড়ী কোটাবান্ধী হইল ; বুচুরাম কোটাবাড়ীর স্বামী হইলেন। এই সময় রামসাগর সিকদারের মৃত্যু হইল, লোকমুখে সেই সংবাদ প্রাপ্ত হইয়া রাসমপি বুচুকে জানাইল ;-পরামর্শ দিল, “এ বাড়ীও তোমার, সে বাড়াও তোমার ; তরগিণীকে লইয়া তুমি সেই বাড়ীতে যাও, পাণী বেচা বন্ধ কর, জামীদারের ছেলে 'f, cडांभाद्र जडांव कि ? त्रांभि qथन किडू দিন এই বাটীতে থাকি, মধ্যে মধ্যে গিয়া তোমায় দেখিয়া আসিব, তুমি সুখে থাকিলে আমি সুখী হইব, বাপের' বাড়ীতে গিয়া তুমি সুখী হও! তোমার মা তোমার জন্য প্রায় পাগলিনী হইয়াছেন, তোমাকে পাইলে তিনি কতষ্ট আহলাদ করিবেন, কতই সুখী হইবেন, বধূকে প্রাপ্ত হইয়া আমেদিনী হইবেন, তুমি তাহাই কর।” । প্রথম প্রথম বুচুরাম সে সব কথা শুনিলেন না, আর এক বৎসর রাসমণির ; বাড়ীতেই থাকিলেন, সইখানেই তঁহার নাম হইল বুচুবাৰু। , সেই বোচা এখন কুঁচুবাৰু। ইংরাজের আবির্ভাবে এ দেশে এখন বাবু অনেক । রকম। সচরাচর চলিত কথায় যাহারা বাৰু, তাহদের একটু পরিচয় দিতে হয়। । বাৰু কথাটা পুর্বে এ দেশে চলিত ছিল না, क्ष्न्लूिश्नैी মানী-লোকের জ্যেষ্ঠ পুত্রেরা বাৰু নামে বাচ্য। বাঙ্গালীদের মধ্যে যাহারা সাহেব-লোকের লাঞ্ছনা। সচিতে ।