পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R & 可罗不蒙弧円 করিও না। তুমি বুদ্ধিমান, অনেক পরিচয়ে তাহা আমি বুঝিতে পারিয়াছি, তোমাকে আমি রাখিৰ। প্ৰথমেই তুমি আমাকে বলিয়াছ, তোমার আশ্রয় নাই, দেখ শিব, সে জন্য তুমি ভাবিও না ; আমি তোমাকে পুত্ৰতুল্য স্নেহ-যত্ন করিব - এখন আমি তোমাকে জিজ্ঞাসা করিতেছি, শাস্ত্রাভাস ভিন্ন তুমি আমাদের দেশের ব্যাবহাৰ্য্য। আর কি কি বিদ্যা শিক্ষা করিয়াছ ?” t অনেকক্ষণ বাবুর মুখপানে চাহিয়া থাকিয়া শিবপ্রসাদ উত্তর করিলেন, “কি কি বিদ্যা অামি অভ্যাস করিয়াছি তাহার উত্তর আমি দিতে পারিল না | কেন না, বিদ্যার শেষ নাই, সংখ্যা নাই, শিক্ষার সীমাও নাই। তবে এইমাত্র বলিতে পারি, যখন আমি বাঙ্গালাদেশে ছিলাম, তখন চলনসই বাঙ্গালী ভাষা এবং গণিতশাস্ত্ৰ শিক্ষা করিয়াছি ; তাহার পর, একটী আশ্রয় প্রাপ্ত হইয়া অল্প অল্প ইংরাজীও অধ্যয়ন করিয়াছি ; হিন্দুস্থানে পৰ্যটন করিবার সময় কিছু কিছু হিন্দীভাষা শিক্ষা হইয়াছে; হিন্দুস্থানী লোকের হিন্দী কথা বুঝতে পারি, হিন্দুস্থানীকে বুঝাইবার মত হিন্দী কথাও বলিতে পারি। সর্বশেষে কাশীধামে ংস্কৃত ব্যাকরণ, কাব্য, সাহিত্য এবং ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰ শিক্ষা করা হইয়াছে।” একটু চিন্তা করিয়া বাবু কহিলেন, “অত কথা আমি জিজ্ঞাসা করিতেছি। না, তুমি কেবল বৃথা-পৰ্যটন কর নাই, তাহা আমি বুঝিয়াছি। আমার জিজ্ঞাস্য এই যে, জমীদারী বিষয়কাৰ্য্য তোমার জানা আছে কি না ?” শিবপ্রসাদ বলিলেন, “পুস্তকপাঠে যতদুর জানা যায়, তাহা আমি আয়ত্ত করিয়াছি, কিন্তু হাতেকলমে কোথাও কোন জমীদারীকাৰ্য্য আমি করি নাই।” বাবু ব্ৰজরত্বের লম্বা লম্বা দাড়ী ছিল, অৰ্দ্ধেক চুল পাকা, অৰ্দ্ধেকগুলি কঁচা ; অযত্নে বামচন্তু দ্বারা সেই দাড়ীতে ঢেউ খেলাইতে খেলাইতে গভীর বদনে তিনি বলিলেন, “বেশ বেশ, প্ৰণালী-শিক্ষা করা থাকিলেই দেখিতে দেখিতে কাৰ্য্যপটুতা জন্মিয় থাকে। আমার সেরেস্তায় পাকা পাকা মুহুরী আছে, তাহারা তোমাকে সকল কাৰ্য্য শিখাইয়া দিবে; দুই একমাস দেখিলেই অতি সহজে তুমি সমস্ত কাৰ্য শিখিয়া লইতে পারিৰে। সেই কথাই ভাল। তুমি আমার সেরেস্তাতেই কাজ কৰ্ম্ম শিক্ষা করু, পরিপক্কতা জন্মিলে আমি তোমার উপযুক্ত বেতন ধাৰ্য্য করিয়া দিব। তোমার যেরূপ বুদ্ধি-চাতুৰ্য দেখিতেছি, তাহাতে আমার প্রত্যয় জন্মণ্ডেছে, অল্পদিনের মধ্যেই তুমি আমার সেরেস্তার প্রধান