to g বলেন না। পৰ্ব্বতের আড়ালে “লুকাইয়া থাকিয়া আপন অধিকারমধ্যে দাঙ্গা বাধাইয়। দেওয়া, নিরীহ লোকের ঘর জ্বালাইয়া দেওয়া, জাল দলীল প্ৰস্তুত করাইয়া প্রকৃত অধিকারীকে বঞ্চনা করা তাহার নিতান্ত অনভ্যস্ত ছিল না। এমন ষে ব্ৰাজরত্ন চৌধুরী, তিনিই ছিলেন বাঙ্গালী হিন্দুজাতির সমাজ-সংস্কা রক। সময়ের অনুগত হইয়া চলা অনেক লোকের অভ্যাস। এ দেশে সাহেব আসি তে সাহেবী চাল-চলন দেখিয়া কতকগুলি বাঙ্গালীর মন টলিয়া গিয়াছে। সাহেবেয়া যে ভাবে চলে, যে সব কথা বলে, যে প্রকার কাজ কয়ে, যে প্রকারে বিবাহ করে, যে প্রকার ভোজন করে, সেই প্রকারের অনুকরণ করিতে অনেকে৷ ই সাধ । দেশের মধ্যে যে কোন ব্যক্তি সেই সকল লোকের মনের মত কথা বলেন, তঁহার প্রতিই আন্তরিক ভক্তির উদয় হয়; ব্ৰজরত্নবাৰু সেই শ্রেণীর লোকের সেই প্ৰকার ভক্তি অর্জন করিয়াছিলেন। চিরদিন সনভাবে চলে না। এক সময়ে উত্থান, এক সময়ে পতান, জগতের নিয়মই এই। সুৰ্য্যদেব সমস্ত দিন পৃথিবী দগ্ধ করিয়া সন্ধ্যাকালে অন্ত যান, কমলিনী দিবাভাগে প্রস্ফটিত হইয়া সন্ধ্যাকালে মুদিত হয়, ঋতুবিশেষে দিবাযামিনীও হ্রস্ব-দীর্ঘ হইয়া থাকে। প্ৰকৃতির ক্রোড়গত সমস্ত পদার্থেরই এইরূপ BDD DDB BDBDB BDBDuDiBD DB SSBLLB BDS DDBKKBDBu D মহাবীৰ্য্যবান পুরুষেরাও যথাসময়ে হীনপ্ৰতাপ, হীনবীৰ্য হইয়া পড়েন। এমন কি, ইন্দ্রাদি দেবতারাও এক এক সময়ে অবসন্ন ও বিপদগ্ৰস্ত হইয়াছিলেন। চিরদিন কখনই সমান যায় না ; সংসারের কেহই প্রকৃতি-দেবীর এই অলক্ষ্য নিয়ম লঙ্ঘন করিতে পারে না ৭ বাবু ব্ৰজরুত্বের পতনকাল উপস্থিত। ইংরাজ-অধিকারে খৃষ্টধৰ্ম্মপ্রচারক পাদরী মহাশয়েরা এবং তঁহাদিগের অধীনস্থ অনুচরেরা এ দেশের নানা স্থানে, হাট, মাঠে, বাজারে, মেলাস্থলে দণ্ডায়মান হইয়া প্ৰভু যীশু খৃষ্টের মহিমা-কীৰ্ত্তন করেন ; কীৰ্ত্তনের সুর ভুলিয়া এতদেশীয় মানবগণের আরাধ্য দেব-দেবীর অযথা নিন্দা আরম্ভ করিয়া দেন। ক্ৰমাগত হিন্দু সমাজ-সংস্কারের বক্ততা করিয়া ব্ৰজয়ন্ত্রবাবুর সাহস বৃদ্ধি হইল ; কেহই বাধা দিল না, কেফাই প্রতিবাদ করিল না, কেহই তাঁহার সম্মুখে আসিয়া তর্ক করিল না। তিনি মনে করিলেন, সৰ্ব্বত্রই তাহার. জয়লাভ হইল, তাহার যুক্তির নিকট পরাভূত হইয়া সকলেই সুপথে আসিল, অচিরাৎ বঙ্গদেশের,
