পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্ৰহণ করিয়াছিল, যে বাগানে সুরঙ্গিণী, সেই বাগামেও গিয়াছিল, কিন্তু কোন ফল হয় নাই। সাত মাস পরে প্রকাশ পাইল, সেই বাগানেল একটী আম্রবৃক্ষের শাখায় রাজুবন্ধন করিয়া যাদবচন্দ্ৰ বুলিয়া আছে; বিধবা-বিবাহের বিষাদে হতভাগ্য যাদব তৎপুর্বরাজনীতে সেই বৃক্ষে উদ্বন্ধনে প্ৰাণত্যাগ করিয়াছে । পুলিসের লোকেরা সন্ধান করিয়াছিল, উদ্বন্ধনের কোন কারণ নিরূপণ করিতে পারে নাই । সুরহ্মিণী কোথায় গিয়াছিল, তাহারও কোন সন্ধান হয় নাই, ৰাগানের ঘরখানি শূন্য পড়িয়াছিল। যে দেশে বিধবা-বিবাহ প্ৰচলিত নাই, যে দেশে পতি-পত্নীর পবিত্র তাব চির-প্রচলিত, সে-দেশে অধিকবয়স্ক বিধবার বিবাহ প্ৰচলিত করিবার চেষ্টা করা ন্যাঙ্গানুগতি বোধ হয় না। বিদ্যাসাগর মহাশয় সে চেষ্টা করেন নাই, অক্ষতযোনির বিবাহ ব্যবস্থা-সিদ্ধ বলিয়া পণ্ডিতগণের সহিত তিনি বিচার করিয়াছিলেন, কাৰ্য্যে। কিন্তু সেই সীমা উল্লজিঘত হইয়া পড়িয়াছিল। যাহার পতিব্ৰতা, বিবাহের পর বাহাঁদের পতি-প্ৰেমাস্বাদন-প্ৰাপ্তি হইয়াছে, তাহান্না পতিহার হইলে বিবাহ করিতে সম্মত হইবে না, বলপ্রয়োগ করিলেও সে বিবাহে তাহারা সুখী হইবে না, ইহা নিশ্চয়। বিদ্যাসাগর মহাশয় তাহা ভাবিয়াছিলেন, কাৰ্য্য কালে সে ভাবনায় কোন ফল হইল না। “নষ্টে মৃতে৷” ইত্যাদি বচনের দোহাই দিয়া আধুনিক সংস্কারকেরা যত বয়সের বিধবাই হউক, তাহদের বিবাহ দিবার জন্য, উন্মত্ত হইয়াছিলেন, সমাজ সেইজন্য বিরোধী হইয়া দাড়াইলেন, বিধবা-বিবাহ প্রচলিত হইল না। যে কয়েকটী বিধবা-বিবাহ হইয়াছে, তাহার পরিণাম অন্বেষণ করিলে কিরূপ ফল দর্শন করা যায়, সমাজতত্ত্বজ্ঞ লোকেরা তাহা জানিয়াছেন। যাহারা বিধবা-বিবাহ করিয়াছে, তাহারা সমাজচ্যুত হইয়া আছে অথবা এমন কথা বলা যাইতে পারে, বিধবা-বিবাহকারী দল আপনাদের ক্ষুদ্র, একটা সমাজ বাধিয়া লইয়াছে, সাধারণ সমাজের সহিত তাহাজের কোন সংশ্লিব নাই। এমনও আমরা অনেক দেখিয়াছি, র্যাহারা বিদ্যাসাগরের মতের KBKuS BBBBS DBDBDDBD BD DBDBDKSOE EBD DDD BB DS SDDD বিধবার সহিত পুত্রের বিবাহ দিয়া সেইরূপ বধু গৃহে আনয়ন করেন নাই, অনেক স্থলে তঁহারাও সমাজচ্যুত ; সমাজের লোকেরা ঠাঁহাদের সঙ্গেও পানভোজনে বিরত। যে দেশের, এমন অবস্থা, সে দেশে ষোল আনার উপর বয়স