পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাদরহািত । লেন। তিনি তখন স্নান করিতে যাইতেছিলেন, সন্ন্যাসীমূৰ্ত্তি দৰ্শন করিয়া · দেইখানে চমকিয়া দাঁড়াইলেন, অনেকক্ষণ একদৃষ্টি সন্ন্যাসীয় শ্মশ্রশোভিত বদন নিরীক্ষণ করিয়া তিনি তঁহার চরণে প্ৰণিপাত’ করিলেন। বাহু তুলিয়া আশী*ीन श्रुब्रिाम्रांनी गिग, 'नांब्रांश-नांबांद्र-नांद्रांश्*!” সন্ন্যাসীকে লইয়া রামসুন্দরবাবু বাড়ীর মধ্যে প্রবেশ করিলেন, দ্বারপাল তখন আর নিষেধ করিতে পারিল না। উপরের যে ঘরে রূপচাঁদ বসিয়া আরাম করে, সেই ঘরের দরজার সম্মুখে দাড়াইয়া, সমভিব্যাহারী সন্ন্যাসীর দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ পূর্বক রামসুন্দরবাবু উৎফুল্পকণ্ঠে রূপচাঁদকে কহিলেন, “দেখুন দেখি, এই সাধুটীকে আপনি চিনিতে পারেন। কি না ? ” রামসুন্দরবাবুর গাত্রে তৈলমাখা, ঘরে প্রবেশ করিয়া তিনি বিছানায় উঠিলেন না, সন্ন্যাসীর অঙ্গে ভষ্ম-মাখ, চরণে ধূলি-মাখা, সন্ন্যাসীও বিছানায় উঠতে সাহস করিল না। রূপচাদের ঘরে ঢাল বিছানা, জাজিমের উপর কার্পেট পাতা, সারি সারি অনেকগুলি উশাধান ; দুটি উপাধান অবলম্বনে রূপচাদ উপবিষ্ট। তৃতীয় উপাধানে একটী বস্ত্রাবৃত পদার্থ। গৃহমধ্যে বিছানার উপর রূপচাদ, চৌকাঠের বাহিরে শ্যামসুন্দরবাবুর পার্শ্বে নবাগত সন্ন্যাসী। রূপচাদের চক্ষের সহিত সন্ন্যাসীর চক্ষের মিলন হইল। অল্পক্ষণ মিলনেই সন্ন্যাসী যেন রূপচাদকে চিনিতে পারিল ; নাম জানিতে পারিল না, হাস্য করিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “তায় হে! তোমার এ অবস্থা কত দিন ?” আকার-দর্শনে যতটা না হউক, কণ্ঠস্বর-শ্রবণে আর ‘ভায়া” সম্বোধনে রূপচাৰ সেই সন্ন্যাসীকে চিনিয়া লইল, উত্তর করিল, “ষত দিন তোমাকে দেখি নাই, . ९वां डड भि ।” সন্ন্যাসী পুনরায় জিজ্ঞাসা কৰেিল, “কি প্রকারে ?” । রূপচাঁদ বলিল, “কল্পিকাবাস্তুে।” । সন্ন্যাসী বিস্ময় প্রকাশ কৰেিল। কৌপানের কথা তখন তােহাঁর মনে পড়ল। পাঠকমহাশয়েরও হয় তা মনে পঢ়িতে পাটিৰে, ইদুর কৌপীন কাটিত,সেই উৎপাতে যুগল সন্ন্যাসীর মধ্যে একজন সন্ন্যাসী স্থানত্যাগ করিয়া গিয়াছিল, দ্বাদশ বৎসরের কথা ; দ্বাদশ বৎসর পরে সেই সন্ন্যাসী ফিরিয়া আলিয়াছে। কল্পিকাবাস্তে এক মানের দেশত্যাগ, কল্পিকাবান্তে দ্বিতীয় জনের সম্পদপ্রাপ্তি, ইহা বড় আশ্চৰ্য । ,