পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

鹉怀*屯臀目 84š • রূপষ্ট, গাত্রে খান করিয়া সন্ন্যাসীকে আলিঙ্গন করিল, হস্তধারণ পুৰ্ব্বক গালিচার উপর লইয়া বসাইল। রামসুন্দরবাৰু বহুদিনের পর যুগলমিলন দর্শনে পরিতুষ্ট হইয়া মন করিতে গেলেন ; তঁহার ওষ্ঠপ্ৰান্তে ঈষৎ হাস্যরেখা দেখা দিল । কি তঁহার মনে উঠিল, হাস্য-দর্শনে তাহা স্পষ্ট বুঝা গেল না । “কল্পিকাবাস্তে”-রূপচাদের মুখে এই কথার ব্যাখ্যা হইতেছিল, পার্থে হঠাৎ ক্ষুদ্র শিশুর ক্ৰন্দনধ্বনি। সন্ন্যাসী চমকিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “ও কি ?” ইতিপূর্বে তৃতীয় উপাধানে যে একটা বস্ত্ৰাবৃত পদার্থের কথা বলা হইয়াছে, " আবরণ-মোচন করিয়া রূপার্টাব্দ সেই পদার্থটিকে আপন ক্ৰোড়ের নিকটে আনস্নান পূর্বক সন্ন্যাসীর প্রশ্নে উত্তর দিল, “কপ্লিকাবাস্তে এই পদার্থ আমি প্ৰাপ্ত । হইয়াছি। এটা আমার পুত্র। ছয় মাসের শিশু । ” সন্ন্যাসীর পূর্ব-বিস্ময় অধিক গাঢ়তার হইয়া উঠিল, সবিস্ময়ে রূপচাদ গোস্বামীকে কহিল, “ভায়া হে! কল্পিকাবাস্তে তুমি সম্পদ পাইয়াছ, কপ্লিকাবাস্তে তুমি বিবাহ করিয়াছ, কপ্লিকাবাস্তে তুমি পুত্ৰ পাইয়াছ ; কপ্লিকাবান্তে জীর্ণ শীর্ণ হইয়া বৃথা আমি দেশে দেশে পৰ্যটন কুরিয়াছি। এখন তোমাকে দেখিয়া আমার হিংসা হইতেছে।” P একবার ছেলের দিকে, একবার সন্ন্যাসীর দিকে চক্ষু ফিরাইয়া রূপচাঁদ বলল, “ভালই হইয়াছে, হিংসা আসিলে সন্ন্যাসধৰ্ম্ম থাকে না। আমার মনে হিংসা আইসে নাই, ক্ৰমে ক্ৰমে ভোগ-বিলাসের ইচ্ছা আসিয়াছিল, তাহাতেই আমি সন্ন্যাসধৰ্ম্ম হারাইয়া ফেলিয়াছি। তোমার মনে হিংসা আসিয়াছে, তুমিও { সন্ন্যাসধৰ্ম্ম রাখিতে পারবে না।” r কল্পিকাবান্তে যাহা যাহা ঘটিয়াছিল, এই তর্কের পূর্বে সজোপে সজোপে - রূপচাঁদ সে সকল কথা ঐ সন্ন্যাসীর নিকট ব্যক্ত করিয়াছিল। গোড়ার কথা । মনে করিয়া সন্ন্যাসী বলিল, “তোমার মনে হিংসা আইসে নাই, এমন কথা তুমি । বলিতে পার না। তোমার অবস্থা দর্শনে আমার হিংসা হইতেছে, এ হিংসা এক প্রকার, তোমার হিংসা ছিল অন্য প্রকার। ইন্দুর মারিবার জন্য তুমি বিড়াল । পুষিয়াছিলে, তোমার মনে জীব-হিংসার প্রবৃত্তি আসিয়াছিল। ভাব দেখি । ভাই, কাহার হিংসায় বেশী দোষ?” ।