ত্ৰৈয়োদশ তরঙ্গ । । NOS)
- মফস্বলে যাইতেছে, কলিকাতার পুণ্য যদি কিছু থাকে, তাহা মফস্বলে যাইতেছে । না ; মফস্বলের পুণ্য কলিকাতায় আসিতে পারে, কিন্তু পাপের সহিত মিশ্ৰিত হইয়া রসায়ন-শস্ত্রের মৰ্যাদানুসারে তাহা বিকৃত শব্ব ধারণ করিতে ছ।
নারী-সংসার নষ্ট হইবার আর একটা নুতন কারণ। বঙ্গে হিন্দু নারীর সতীত্বধৰ্ম্ম । সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক প্ৰশংসনীয়। হিন্দুবিধবার বিবাহের হুজুগ সেই প্ৰশংসাকে ডুবাইয়া দিবার উপক্ৰম করিতেছিল। বিধবা বিবাহ চলে নাই, কিন্তু ভিতরে ভিতরে প্রধূমিত হইতেছে। যে সকল রমণী স্বাধীন হইতেছে, তােহাঁদের মনে একটা দিশ্বাস জন্মিয়াছে যে, পতির মৃত্যু হইলে তাহারা বিধবা হইবে না ; পুনঃ পুনঃ নুতন নূতন পতিগ্রহণ করিতে পরিবে। এই বিশ্বাস মহা অনার্থের মূল। এই মূল হইতেই অন্ধুর বাহির হইয়া বঙ্গের সতী-সংসার কণ্টকীলতায় জড়াইয়া ফেলিবে, “পতি মোলে হাতের বালা খুলবো না লো খুলবো না,” নাটমন্দিরের রঙ্গমঞ্চের এই গীত তাহা বুঝাইয়া দিতেছে। পতিব্ৰতা নারী বঙ্গ-সংসারের ভূষণ। পতিভক্তি কুরূপ নারীর অতুল্য রূপ। পতিই স্ত্রীলোকের গুরু, পতিই দেবতা ; পতিভক্তি ভিন্ন স্ত্রীলে’কের অন্য কোন ব্ৰত নাই ; পতিসেবাই স্ত্রীজাতির পরম ধৰ্ম্ম। শাস্ত্র প্রমাণে এই বিশ্বাস থাকাতে বঙ্গের হিন্দু-সংসারের স্ত্রীলোকেরা কায়মনোবাৰে ! পতিসেকা করেন। পতির মৃত্যু হইলে স্ত্রীলোকের জীবন শূন্যময় বােধ হয়, সংসারের সকল সুখ ফুরাইয়া যায় ; এই কারণেই পতিব্ৰং।। রমণীগণ পতি-সেবায় জীবন উৎসর্গ করিয়া থাকেন। এক পতি মরিলে নূণ্ঠন পতি প্ৰাপ্ত হইবে, এমন ধারণা যদি থাকে, তাহা হইলে স্ত্রীলোকেরা পতি-সেবায় যত্নবতী হইবে, , , পতির মঙ্গলামঙ্গলে ভ্ৰক্ষেপ রাখিবে না, অন্য জাতির দৃষ্টান্ত দর্শনে তাহা বিলক্ষণ বুঝা যায়। হিন্দু , রমণীর বৈধব্যযন্ত্রপা দর্শন করিঃ সকলের শোক উপস্থিত হয়, হিন্দু বিধবার মানবন্দন নিরীক্ষণ করিলে হৃদয়ৱান লোকের হৃদয়ে বেদনা লাগে, কিন্তু । পুত্র-পৌত্রবর্তী বিধবাকে দেখিলে ভাদৃশ শোক কয় না। মহাজনবাক্য আছে, “অশোচ্য বিধবা নারী পুত্র-পৌত্রপ্রতিষ্ঠিতা।”—এখন বিবেচনা করা হউক, তাদৃশী অশোচ্য বিধবা যদি দ্বিতীয়বার পতিগ্রহণে অভিলাষিণী হয়, তাহা । হইলে বঙ্গ-সংসারের কি অবস্থা দাড়াইবে। স্বাধীন-প্রকৃত্তি উত্তেজিত হইলে । কোন কোন স্থলে তাহা যে ঘটবে না, qन* अभाग कate च शूिलं । ।