পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৪০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গের বিষয়-সংসার একপ্রকার বিষম-সংসার হইয়াছে। একদিকে কৰ্ণপাত কর, নিরন্তর বিজয়-কোলাহলে আমােদধ্বনি শ্রুতিগােচর হইবে, অন্যদিকে কৰ্ণ পাত কর, সকরুণ আৰ্ত্তনাদমিশ্রিত বিষাদধ্বনি শ্রত হইতে থাকিবে। কিঞ্চিৎ নৃত্যুনাধিক পরিমাণে দুইদিকেই কিন্তু একরূপ পরিস্ফাট মিশ্রধ্বনি-হা অন্ন, হা। অন্ন! শ্রবণেন্দ্ৰিয় যেমন পরস্পর-বিরোধী উভয়ধ্বনি শ্রবণ করে, দর্শনেন্দ্ৰিয়ও তদ্রুপ পরস্পর-বিরোধী উভয়প্রকার দৃশ্য দর্শন করিয়া তৃপ্ত ও অতৃপ্ত হয়। জগতের সৰ্ব্বদেশের সর্বলোকেই বলেন, ক্রমোন্নতিই জগতের ধৰ্ম্ম। ক্ৰমোন্নতি অস্বীকার করিবার কোন হেতু নাই,কিন্তু এককালে পৃথিবীর সমস্ত দেশে সমভাবে উন্নতির পতাকা উড়িতেছে, ইহা অস্বীকার করিবার যথেষ্ট হেতু আছে। আমাদের দেশে। কতকগুলি পণ্ডিত জন্মিয়াছেন, তাহারা সকলেই রাজভক্ত। ভারতে রাজভক্ত কে নহে, সে প্রশ্ন উত্থিত হইতেই পারে না ; কেন না, ভারতবাসীমাত্রেই চিরদিন অবিচ্ছেদে রাজভক্ত। বঙ্গে এখন একটু ইতারবিশেষ। এই হইয়াছে যে, র্যাহাদিগকে পণ্ডিত বলিয়া উল্লেখ করা হইল, তাঁহাদের রাজভক্তি অনেক উচ্চসীমা অথবা উচ্চশিখয় স্পর্শ করে। রাজপুরুষেরা যাহা কিছু করেন, ‘সর্ষবিধায়ে সেই সকল বিষয়ের প্রতি ভক্তি প্ৰকাশ করা সেই পণ্ডিতগণের কাৰ্য । ইংরাজ চরিত সমস্ত অনুষ্ঠানের প্রতি উঁইনের অচলা ভক্তি। । ইংরাজ বলেন, ভারতের মঙ্গলের নিমিত্ত। জগদীশ্বর তাহাদিগকে তারতক্ষেত্রে প্রেরণ করিয়াছেন। যাহারা অকপট রাজভক্ত, রাজবর্ণবিশিষ্ট ব্যক্তিমাত্রের প্রতি যাহনের অকপট ভক্তি, তঁহারাও ঐ বাক্যের প্রতিধ্বতি করেন। কেই বৰ্ণ