পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্দশ ঔরঙ্গ। ] १७१ দ্বাড়িয়ছে,ঔষধের মূল্য বাড়িয়াছে, এত বাড়িয়াছে যে, গৃহস্থের সংসার খরচ অপেক্ষা, চিকিৎসার খরচ প্রায় দুই তিন গুণ অধিক। সামান্য আয়ান লোকের পক্ষে ইহা যে কতদূর কষ্টকর, চিকিৎসক মহাশয়েরা তাহা বিবেচনা করিতে পারেন না। ব্যয়াভাবে অনেক দরিদ্রলোক বিনা চিকিৎসায় ইহসংসার ত্যাগ করিয়া पां, এরূপ অনুমান করিলেও বোধ হয় অসঙ্গত হ’হবে না। ডাক্তার মহুলে আজকাল । আর একটা নূতন অভ্যাস হইয়াছে, জরাক্রান্ত রোগীর নাড়ী পরীক্ষা করিয়া । প্রশ্নের উত্তাপ ও প্রকৃতি নির্ণয় করা হইত, এখন তাহার বদলে তাপমান যন্ত্রের ব্যবহার চলিতেছে ; রোগীর কক্ষদেশে থাৰ্ম্মোমিটার রাখিয়া দিয়া তাপ নিরূপণ। করা হয়, তাপ কত ডিগ্রী উঠিয়াছে, যন্ত্রের পারদ দর্শনে সেইটুকু জানিতে পারিলেই ডাক্তারের ষথেষ্ট মনে করেন। কেবল তাপনিরূপণেই জারের প্রকৃতি বুঝা যায় না, ইহা ভাবিতে শুর্তাহারা ভুলিয়া যান ; বায়ু, পিত্ত, কফ, নাড়ীর গাত পরীক্ষা করিয়া এই তিনটী স্থির করিতে না পারিলে, ঔষধপ্রয়োগ বৃথা হয়, কোন কোন স্থলে বিপরীক্ত হয়, ডাক্তারী-মহাশয়ের কেন যে সেটা ভাবেন না, ইহাই আমরা অ্যশ্চৰ্য্য মনে করি। ডাক্তারের দেখাদেখি কোন কোন কবিরাজও BD DDBBD DBDD DBBDBu SBB DBBDBDBDSS BDBB DDD বলিয়া ঐ রূপ কৃত্রিম উপায় অবলম্বন করা হইতেছে, অনেকে এইরূপ মনে করেন, চিকিৎসকগণের পক্ষে ইহা সামান্ত লজ্জা ও কলঙ্কের বিষয় নহে। নাড়ীজ্ঞান প্ৰয়োজন নাই, আনাড়ীরাই ঐৰূপ ভাবিতে পারেন, বাস্তবিক, আমাদের চিকিৎসাংসার অন্যে ঐ স্কুলে কেবল আড়ম্বরপূর্ণ হইয়াছে, চিকিৎসকের সংখ্যাধিক্যে যেরূপ সুফলের আশা করা যায়, তাহ-” 3 এই সকল কথা হইতেছে, এমন সময় সরকার আসিয়া সংবাদ দিল, রঙ্গলালবাবু বাড়ী আইসেন নাই। পুরন্দরবাৰু একটু চমকিয়া উঠিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “কোথায় গেল ? * , সরকার ঠিক উত্তর দিতে পারিল না, ইতস্ততঃ করিতে লাগিলু। দেয়ালের ঘড়ীর দিকে চাহিয়া বায়ু বলিলেন, “সাড়ে আটটা, এখনও আসিল না, কারণ কি ? যদুপতিকে ডাক দেখি।”-সরকার যদুপতিকে ডাকিতে গেল । যে তিনটী পুত্রকে লেখা-পড়া শিখাইবার জন্য পুরন্দরবাবু কলিকাতায় আনিয়াছেন, তাহদের মধ্যে যেটী খড়, সেইটীয় নাম রঙ্গলাল ; বয়স ত্রয়োদশ