পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

soe বঙ্গরহস্য : , কম্বিয়াজ হইয়া উঠতেছে। কিছুদিন পূর্বে কলিকাতায় একটীও আয়ুৰ্বেদীয় ঔষধালয় ছিল না।াষ্ট্রপ্রাচীন কবিরাজ-মহাশয়েরা ঘরে ঘরে ঔষধ প্ৰস্তুত করিয়া রোগিগণের গৃহে গৃহে গিয়া ঔষধ প্ৰদান করিতেন। এখন কলিকাতার প্রায় গলীতে গলীতে এক একটী আয়ুৰ্বেদীয় ঔষধালয়। সহরের দেখা দেখি সহরের বাহিরেও আয়ুৰ্বেদ ঔষধালয়ের সাইনবাের্ড দৃষ্টিগোচর হইতেছে। আয়ুৰ্বেদীয় ঔষধালয়সমূহ হের পরিচালক হইতেছে কাহারা ? সত্য যাহারা পরিচালক হইবার অধিকারী, ওঁহাদের প্রতিষ্ঠিত ঔষধালয়গুলির প্রতি অবশ্যই ভক্তি রাখিতে হয়, কিন্তু সৰ্ব্বত্র সেরূপ অধিকারী দেখিতে পাওয়া যায় না। যাহারা জন্মাবধি আয়ুৰ্বেদশাস্ত্ৰ 'দর্শন করে নাই, অন্য কোন কাজ না জুটিলে তাহারা এক একটা দোকানের চৌকাঠের মাথায় বৃহৎ বৃহৎ অক্ষরে সাইনবোর্ড ঝুলাইয়া মানুষকে দেখাইতেছে, আয়ুৰ্বেদীয় ঔষধালয়। সাইনবোডে লেখা থাকে, “কবিরাজ শ্ৰীঅক্ষয়চন্দ্ৰ মণ্ডল কবিশেখর, কবিরাজ শ্ৰীনুসিংহ প্ৰসাদ কুণ্ড কবিকেশরী, কবিরাজ শ্ৰী জয়প্ৰকাশ দাস কাব্যরত্ন” ইত্যাদি ইত্যাদি। কবিরাজ কাহাকে বলে, তাহা যাহাদের জানা নাই, দুঃসাহসের আশ্রয় লইয়া তাহারা আপনাদের নামের পূর্বে কবিরাজ এবং নামের শেষে কাব্যশাস্ত্ৰবিশারদ পণ্ডিতের উপাধি যোগ করে, ইহা কদাচ ক্ষমার যোগ্য হইরে পারে না। সাইনবোড দিয়া যাহারা বস্ত্ৰ বিক্রয় করে, জামা, জুতা, পুতুল অথবা অন্যান্য সামগ্ৰী বিক্রয় করে, তাহাদের কাৰ্য্যের উপর কথা কহিবার কাহারও অধিকার নাই, কিন্তু যে কাৰ্য্যে মানুষের জীবন মরণ সম্বন্ধ, সে কাৰ্য্যে অনধিকারী ব্যক্তিগণকে প্রশ্ৰয় দেওয়া পাপের কাৰ্য্য। আয়ুৰ্বেদীয় ঔষধ বাজারের খেলানা নহে, সে ঔষধ সেবন করিলে কি হয়, তাহ যাহারা জ্ঞাত নখে, তাহারা মানুষকে ঔষধ প্ৰদান করিয়া চিকিৎসা করিতে সাহস করে, ইহা শ্ৰমণ করিলে শরীর রোমাঞ্চিত হয়। ডাক্তারের পরীক্ষা আছে, ডাক্তারখানার ঋম্পাউণ্ডঃ তৃগণের পরীক্ষা আছে, কবিরাজের পরীক্ষা নাই; কবিরাজ উপাধি, ধাপ্পী অপরীক্ষিত মূৰ্থিলাকের হস্তে ঔষধ খাইয়া মানুষ যদি মরে, তাহার জন্য }{4} কে তুঙ্গুত্ব ? : दg আক্ষেপের বিষয়, এত বড় রাজ্যে সে কথা জিজ্ঞাসা ঋ:িপাপু লোক নাই ! / কািলকাভা সম্বরে অস্ত্ৰ কাল:প্রায় সকল গৃহস্থের ঘরে ঘরেই দুই একজন করিয়া এক এক প্রকার রোগে আক্রান্ত ; রোগাধিক্য হেতু ডাক্তর-ক,ব্যাঞ্জের দর্শনী