পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

I é বঙ্গরহস্ত। ' ক্ষুণীয়। সংস্কৃত দর্শনশাস্ত্রের তুল্য গৌরবাস্পদ উদারশান্ত্র অতি দুলভ ; ইংল্পাঞ্জা । } শিক্ষিত যুবকের সেই দর্শনশাস্ত্রকে অবজ্ঞা গ্ৰদৰ্শন করেন। সংস্কৃত অধ্যাপকের নামে অনেকেই মুখ বাকাইয়া হাম্ভ করেন, ইহাকে কখনই শুভলক্ষণ বলা যাইতে পারে না। এখনকার পরিবর্তনকে যাহারা উন্নতি বলিয়া স্পৰ্দ্ধা প্ৰকাশ করিতেছেন, অত্যন্ত দুঃখিতচিত্তে আমরা তঁহাদের বিপরীত সিদ্ধান্ত করি। ইংরাজেরা এ দেশের রাজা হইয়া ইংরাজী ভাষা বিস্তার করিতেছেন, তদ্বারা আমাদের উপকার হইতেছে, অবশ্যই তাহ৷ স্বীকাৰ্য্য , কিন্তু মূল অশুদ্ধ। ইংরাজী শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের তরলমতি বালকগণের ধৰ্ম্মবিশ্বাস টালিয়া যাইতেছে। ধৰ্ম্মের ভিত্তি শিথিল হইলে সংসারের সমস্ত বিষয়ই বিশৃঙ্খল হইয়া পড়ে, ইহা কেহ অস্বীকার করিতে পরিবেন না । রাজার ধৰ্ম্মের সহিত আমাদিগের ধৰ্ম্মের ঐক্য নাই, এই কথা অনেকে বলেন। এই কথার উপর নির্ভর করিয়াই শিক্ষা-সংক্রান্ত পণ্ডিতমণ্ডলী এ দেশের বিদ্যালয়সমূহে ধৰ্ম্মশিক্ষার অনাবশ্যকতা প্রতিপাদন করিতে চাহেন। বাস্তবিক ইংরাজ প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ে ধৰ্ম্মশিক্ষণ দেওয়া হয় না। যাহারা এই নীতির অভ্যস্তরে প্রবেশ করেন, তঁহারা আক্ষেপ করিয়া বলেন, এখনকার বিদ্যাশিক্ষা क्षेत्रंद्रवेिदकिँऊ, এ শিক্ষার ইংরাজী নাম “God less education এ বাক্য অখণ্ডনীয়। যে শিক্ষার সহিত ঈশ্বরের সম্বন্ধ নাই, সে শিক্ষা বিষয়কাৰ্য্যে নৈপুণ্য জন্মাহিয়া দিতে পারে, রাজনীতির তর্ক শিখাইতে পারে, চাকরী জুটাইয়া দিতে পারে, বৃথা তর্কশক্তি জন্মাইয়া দিতে পারে, কিন্তু আসলে কিছুই উপকার করে না। তাদৃশী শিক্ষাকে বিফল শিক্ষা বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। এই কারণেই দেশের কোন প্রকার প্রকৃত উন্নতি আমরা দেখিতে পাইতেছি। না। দিন দিন বঙ্গসমাজ ছিন্নভিন্ন হইয়া পড়িতেছে। সমাজ আছে, ইহা কেবল -३४ ; ক্ৰাধ্যে সমাজকে যেন একটা শূন্য মাত্র বোধ হয়। পূর্বে আমাদের দেশে সমাজ ছিল, সমাজের পদ্ধতি ছিল, সমাজের বন্ধন ছিল, এক একজন সমাজপতি ueTOS DBD DD DD DYSS SSgDOD BBD DBK SBD0YSYS সেই সমাজ এখন বিচ্ছিন্ন । যাহার নাম সামাজিকতা, তাহা এখন কেবল নামমাত্ৰেই পৰ্য্যবসিত। যে কোন বিষয় অবলম্বন করা যায়, তাহাতেই পদে পদে BBDBBD DD BDBSDBB YB DDuDBDSBDBB BDDD DBDB DDgBDS

- o