পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰথম তরঙ্গ । বঙ্গবিবাহ। শাস্ত্ৰমতে বিবাহ আমাদিগের প্রধান সংস্কার। এই বিবাহ আমাদিগের দেশে পূর্বে পূর্বে যে প্রকার ধৰ্ম্মভাব-পরিপূর্ণ ছিল, ‘এখন তাহার বিস্তর বিপৰ্য্যায় ঘটয়াছে। শাস্ত্ৰমতে বিবাহ আট প্রকার ;-ব্রাহ্ম, দৈব, আৰ্য, প্রাজাপত্য, আসুর, গান্ধৰ্ব্ব, রাক্ষস ও পৈশাচ । বৰ্ত্তমান যুগে শেষোক্ত চতুৰ্ব্বিধ বিবাহ অপ্রচলিত ; প্রথমোক্ত চতুৰ্ব্বিধ বিবাহ বিধিবিহিত তাইলেও তাহারও অনেক ব্যতিক্রম ঘটিয়াছে । যাহাঁদের সমাজ নাই, তাহদের সামাজিক কাৰ্য্যে ব্যতিক্রম ঘটবে, ইহা বিচিত্র নহে। “একমেবাদ্বিতীয়ম” এই মূলমন্ত্র ধরিয়া সপ্ততি বর্ষাকাল এ দেশের কতিপয় যুবক ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম নামে একটী অভিনব ধৰ্ম্মের। প্ৰবৰ্ত্তন করিয়াছেন। পৃথিবীর মূলধৰ্ম্মকে অভিনব ধৰ্ম্ম কেন বলা হহল, বিজ্ঞ সমাজের নিকট বোধ হয়। তাহার ব্যাখ্যা আবশ্যক হইবে না। যাহারা ঐ মূলমন্ত্রে অদ্বিতীয় পরমেশ্বরের উপাসনা করিবার ভাণ করেন, তঁহাদের উপাসনা-মন্দিরের নাম ব্রান্তু সমাজ ; যাহারা সেই সমাজে উপস্থিত হন, ভঁাহারা আপনাদিগকে ব্ৰাহ্ম বলিয়। পীচয় দেন। রাজা রামমোহন রায়ের মৃত্যুর পূর্বে ব্ৰাহ্মদিগের বিবাহ যে প্রণালীতে সম্পাদিত হইতে, কয়েক বৎসর হইল, সে প্ৰণালী পরিবৰ্ত্তিত হহয় এক প্রকার নূতন প্ৰণালী অবলম্বিত হইয়াছে, সেই প্ৰণালীর বিবাহের নাম ব্ৰাহ্ম বিবাহ { শাস্ত্ৰোক্ত ব্ৰাহ্মবিবাহ নে প্রকার, আধুনিক ব্রাহ্ম ভ্ৰাতৃগণের ব্ৰাহ্মপিপাই সে প্ৰকার নহে । যে প্রকারে এখন ব্রাহ্ম বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়, তাহ প্রকারী|স্তরে ইংরাজা