পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ স্তরঙ্গ । কলিকাতায় চলিয়া গিয়াছে। তাহার পীড়া আরাম হইয়াছে; ভাল ডাক্তার •দেখাইবার জন্য হরিবিলাস তাহাকে কলিকাতায় আনিয়াছিল; ত্রিপুরার ভ্রাতাও ! সেই সঙ্গে ছিল। রঘুনাথের পিতা মনে করিলেন, বধূর জার-বিকার মিথ্যাকথা, চিকিৎসকেরা বলিয়াছিলেন, জ্বরের বেগ ততটা অধিক নয়, তাহতেই তিনি বুঝিয়াছিলেন, রোগটা কেবল ভাণ। মাত্র। ইহা বুঝিবার কারণ এই যে, বিবাহের অগ্ৰে বধুর চরিত্রের কথা পরস্পর কণা-ঘূসায় একটু একটু আঁহার কর্ণে উঠিয়াছিল। হরিবিলাস দত্ত কয়েকবার তঁহাদের বাটীতে গিয়াছিল ; সেই হরিবলাস দত্তই আবার ত্রিপুরাকে চিকিৎসা করাইবার ছলে কলিকাতায় অ্যানিয়াছিল। এই সকল আলোচনা করিয়া তাহার মনে সেই সন্দেহটাই প্ৰবল হইয়া উঠিল। বধূকে তখন আর তিনি গৃহে লইয়া যাইবার চেষ্টা করিলেন না ; যে এলাকায় তঁহাদের নিবাস, সেই এলাকার ফৌজদারী আদালতে অভিযোগ উপস্থিত করিবার মনস্থ করিলেন। স্বামী বৰ্ত্তমানে শ্বশুর ফরিয়াদী হইতে পারেন না, অতএব উকীল-মোক্তারের পরামর্শ লইয়া, রঘুনাথের দ্বারাই নালিশবাদী করাইলেন। হরিবিলাস দত্ত র্তাহার বিবাহিতা পত্নী ত্রিপুরাসুন্দরী দাসীকে বাহির করিয়া লইয়া গিয়াছে, এই প্ৰকার অভিযোগ । মোকদ্দমা চলিতে লাগিল। হরিবিলাস আদালতে হাজির হইলেন। প্ৰত্যক্ষ সাক্ষী একজনও উপস্থিত হইল না, সমস্তই অনুমানের উপর নির্ভর, অবস্থা-ঘটিত প্রমাণে ডেপুটী মাজিষ্ট্রেট এ প্রকার মোকদ্দমার চূড়ান্ত নিস্পত্তি করিতে পারেন না। মোকদ্দমা কিছুদিন মুলতুবী রহিল। হরিবিলাস দত্ত হলপ করিয়া জবাব দিলেন, অভিযোগ মিথ্যা। ত্রিপুরাসুন্দরী দাসী ভঁহার প্রতিবাসীর কন্যা। বিশেষতঃ প্রায় পাঁচ বৎসর তিনি তাহাকে ও তাহার ভ্রাতাকে তাহদের নিজ বাটীতে পাঠশিক্ষা দিয়াছেন। ত্রিপুরার প্রতি তঁহার স্নেহ বসিয়াছিল, সেই জন্য মধ্যে মধ্যে তাহার শ্বশুরবাটীতে গিয়া আত্মীয়তা করিয়া আসিতেন; ত্রিপুরার পীড়ার সময়ও সেইজন্য দেখিতে গিয়াছিলেন ; ত্রিপুরা স্বয়ং রুগ্নাবস্থায় পত্ৰালয়ে আসিলে তাহার ভ্রাতার সহিত তাহাকে লাইঃ কলিকাতায় আসিয়াছিলেন, यांईिल कब्रिश अicन नाई। ত্রিপুরাসুন্দরীকে আদালতে হাজির করিবার জন্য তাহার স্বামীর পক্ষ হইতে দরখাস্ত হইল, আদালত তাহাকে তলব করিলেন। পর্দােনশীন স্ত্রীলোক ৰে