পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (কায়স্থ কাণ্ড, পঞ্চমাংশ, উত্তররাঢ়ীয় কায়স্থ কাণ্ড, তৃতীয় খণ্ড).djvu/৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه له এক হাজার টাকা, ভক্তিভাজন স্বৰ্গীয় রায় রাধাগোবিন্দ রায় সাহেব বাহাদুরের সুযোগ্য পুত্র বঙ্গদেশীয় কায়স্থসভার বর্তমান সভাপতি কুমার শরদিন্দুনারায়ণ রায় আট শত এবং ভাগলপুরসমাজপতি মহাশয় তারকনাথ ঘোষ মহাশয় পাঁচ শত টাকা দিয়া আমাকে বিশেষ ভাবে উৎসাহিত ও অনুগৃহীত করিয়াছেন। এতদ্ব্যতীত বহু ব্যক্তি অর্থ সাহায্য করিয়াছেন, বাহুল্য ভয়ে সকলের নাম দিতে পারিলাম না। বলিতে কি এরূপ সাহায্য না পাইলে আমি কখনই এরূপ বহু ব্যয়সাধ্য কাৰ্য্য সম্পন্ন করিতে সমর্থ হইতাম না । অবশেষে আনন্দের সহিত জানাইতেছি যে এই তৃতীয় খণ্ড মুদ্রিত হইবার পর বঁাশবাড়িয়ার ও সেওড়াফুলীর রাজবংশের চারি খান বাদসাহী সনদ আমাদের হস্তগত হইয়াছে। ১ম বাদশাহ BBBBBSBBB BBBB BBB SBBS BBBB BBBSDD BBBB BB BBBB BBB রাজা উপাধির সনদ, ৩য় বাদশাহ অরঙ্গজেবের প্রদত্ত রামেশ্বর রায়ের ‘রাজা মহাশয় উপাধির সনদ এবং ৪র্থ খানি বড়লাট ওয়ারেন হেষ্টিংসের স্বাক্ষরযুক্ত ২য় শাহজহানের মোহরাঙ্কিত রাজা রাজচন্দ্র রায়ের জমিদারী সনদ, এই চারি খানি সনদের প্রতিকৃতি যথাস্থানে প্রকাশিত হইল । রাজা রামেশ্বর রায়ের সনদের বঙ্গানুবাদ ১০০ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হইয়াছে। শাহমুজ প্রদত্ত রাঘবেন্দ্র রায়ের “রাজা” উপাধির সনদে লিখিত আছে— “১৯৬৬ হিজরী ১২ রবি-আওয়াল তারিখে বাদুসাহ শাহজহানের পুত্র শাহমুজা বাহাদুর ধৰ্ম্মযোদ্ধ রাজেশ্বর ও রাজাধিরাজের মোহরযুক্ত এই মহৎ আদেশ প্রকাশ করিতেছেন–রাঘবেন্দ্র রায় মজুমদার চৌধুরী মহাশয় মুখ্যাতি ও সুবন্দবস্তের সহিত পরগণা কোট-এক্তিয়ারপুর ইত্যাদি স্থানের করাদি আদায় ও পত্তনাদি তাবাদ করিয়াছেন। সেই হেতু উক্ত পরগণা কোট এক্তিয়ারপুর আদি বজায় রাখিয় তাহাকে ‘রাজা’ উপাধিতে ভূষিত করিলাম। র্তাহার পরে তাহার মুখ্য উত্তরাধিকারিগণের মধ্যে যে বিদ্বান ও উপযুক্ত হইবে, সে ঐ পদে অভিষিক্ত হইবে। বৰ্ত্তমান ও ভবিষ্যৎ কার্য্যাধ্যক্ষ ও কৰ্ম্মচারিগণ, জমিদার ও ব্যবসায়ীগণ উক্ত রাজাকে প্রকৃত চৌধুরী জ্ঞান করিয়া ‘রাজা এই উপাধিতে আহবান করিবুে, এবং তাহার উপাধির উপযুক্ত প্রাপ্য অর্পণ করিবে। যtহাতে সরকারের লব্ধ অংশ আদায়, প্রজার মঙ্গল ও বণিকৃদিগের উপকার হয় তাহার প্রতি দৃষ্টি রাখিবেন। করদি আদায় ও উপঢৌকনাদি নিয়মিত ভাবে তাহার নিকট থাকিবে ।” রাজ-রাজচন্দ্রের সনদে লিখিত আছে--“উত্তরাধিকার ক্ৰমে ॥y০ আনার সরিক রাজচন্দ্র চৌধুরীকে জানান হইতেছে, মহম্মদ আমীনপুর ওগয়রহ, মহালের তাহার সহিত বন্দোৰস্ত ও মালগুজারি যেরূপ ছিল, তদনুসারে তিনি কার্ষ্য করিবেন এবং প্রজাদিগকে সন্তুষ্ট রাখিয়া মাস মাস নিজের স্বাক্ষরে বা তাহার মুন্সীর স্বাক্ষরে রাজস্ব পাঠাইবেন। তিনি অন্তাররূপে এক দিহামও কর বৃদ্ধি করিতে পরিবেনু না। বাঙ্গল ১৯৮৩ সন পর্যন্ত যে ভাবে কর আদায়

  • মূল সনদেন্থ প্রতিকৃতি অস্পষ্ট হওয়ায় অনুবাদ হইল না