পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (কায়স্থ কাণ্ড, পঞ্চমাংশ, উত্তররাঢ়ীয় কায়স্থ কাণ্ড, তৃতীয় খণ্ড).djvu/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাশ্যপ গোত্র দত্তবংশ । ] উত্তররাষ্ট্রীক্স কাঞ্জস্থ-কাণ্ড పినీ S তিলি তাহী ক্রয় করিয়াছিলেন। উক্ত নূতন জমিদারের পিতামহ এককালে সুতার ঝুড়ি মস্তকে বহন করিয়া বিক্রয় দ্বারা মাসিক ৫২। ৬ টাকা মাত্র উপার্জন করিতেন। এজন্ত সৌভাগ্যলক্ষ্মীর কৃপা লাভ করিলেও জন সাধারণের নিকট তিনি জমিদারের উপযুক্ত সন্মান লাভ করিতে পারেন নাই। মহেশে জগন্নাথের স্নানযাত্রা উপলক্ষে সেওড়াফুলীর রাজার যে সন্মান পাইয়া থাকেন, উক্ত সন্মান লাভে ইচ্ছুক হইয়। উক্ত তিলি জমিদার পূজারী ব্রাহ্মণদিগকে উৎকোচ দিয়া রাজা হরিশচন্দ্র তথায় পৌছিবার পূর্বেই স্নান আরম্ভ করাইয়া দিলেন, এমন সময়ে রাজা হরিশ্চন্দ্র অনুচরবর্গ সমভিব্যাহারে আড়ম্বরের সহিত অশ্বারোহণে তথায় পৌছিলেন এবং র্তাহার অপেক্ষ না করিয়া স্নান করাইবার কারণ অবগত হইয়া পূজাৰী ব্রাহ্মণদিগকে বন্ধন করিয়া সেওড়াফুলীর রাজবাটীতে আনিয়! আবদ্ধ করিয়া রাখেন। তিন দিন ঐরুপ অবস্থায় রাখিবার পরে বহু ব্রাহ্মণের অনুরোধে তাহাদিগকে ছাড়িয়া দেওয়া হয় । র্তাহারা সৰ্ব্ব সমক্ষে স্বীকার করিয়া যান রা বাটীর অনুমতি না লইয়া আর কখনও শ্ৰীশ্ৰী৮জগন্নাথদেবের স্নান হইবে না, এখনও তাহারা উক্ত প্রতিশ্রুতি পালন করিয়া অসিতেছেন। (১) সন ১২৩৯ সালের ফাল্গুন মাসে রাজা হরিশচন্দ্র পরলোক গমন করেন। তাহার অনুমতি অনুসারে তঁহার দুই পত্নী রাণী হরমুন্দরী ও রাণী রাজধন দুইটী দত্তক পুত্র গ্রহণ করেন। হুরসুন্দরীর পুত্র পূর্ণচন্দ্র বয়সে ছোট ছিলেন এবং রাজধনের পুত্র যোগেন্দ্রচন্দ্র বয়সে বড় ছিলেন, ঐ দুই জন হইতে বড়তরফ ও ছোট তরফ হইয়াছে । রাজ যোগেন্দ্রচন্দ্র ও রাজা পূর্ণচন্দ্র সাবালক হইয়া যখন সম্পত্তির ভার গ্রহণ করেন, তখন এষ্টেটের ঋণ পরিশোধ হইয়াছিল এবং কয়েক লক্ষ টাকা রাজকোষে সঞ্চিত ছিল । উপরন্তু হাবড় রেল ষ্টেশনের ও তথা হইতে বৰ্দ্ধমান পৰ্য্যন্ত রেলপথের জন্য রেল কোম্পানী সেওড়াফুলীর রাজএষ্টেট হইতে যে সকল ভূমি লইয়াছিলেন তাহার মূল্য বাবত কয়েক লক্ষ টকি পাইলেন । কিন্তু লক্ষ্মী চঞ্চল, এত অর্থ ও সম্পত্তি পাইয়াও রাজা পূর্ণচন্দ্রকে সৰ্ব্বস্বাস্ত ও নিৰ্ব্বাসিত হইয়া শেষ জীবন অতিবাহিত করিতে হইয়াছিল। ইহার কারণ রাজা যোগেন্দ্রচন্দ্র বিষয়কৰ্ম্মে উদাসীন ছিলেন। তিনি সেওড়াফুলীর বাটতে থাকিতেন এবং শ্ৰীশ্ৰী৮নিস্তারিণীর মন্দিরের নিকটে গঙ্গাতীরে একটা বাড়ী নিৰ্ম্মাণ করিয়া তথায় গঙ্গাস্নান ও পূজাদি করিয়া ভোজনকালে বাড়ী যাইড্রেন। রাজা পূৰ্ণচন্দ্ৰ বুদ্ধিমান ও চতুর ছিলেন, তিনি পাটুলির বাড়ীতে অধিককাল যাপন করিতেন এবং বিষয় কম্মের তত্ত্বাবধান করিতেন। তিনি সেখীন পুরুষ ছিলেন। গরু, ঘোড়া ইত্যাদির সখ' ছিল। কয়েকজন ইউরোপীয় মোসাহেব ও কৰ্ম্মচারী জুটয় তাহাকে ইউরোপীয় ছাচে গড়িয়া তুলিয়াছিলেন। প্রথম বয়সে 洛 象 鬱 (») vide Toynbyr's Administration of Hooghly District, pp. 153-155,