পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (কায়স্থ কাণ্ড, প্রথমাংশ, রাজন্য কাণ্ড).djvu/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শূন্ধরাজবংশ।] রাজন্ত-কাত্ত সময় কেন অপর কোন সময়ে পাই নাই। নিখিলশাস্ত্রবিজ্ঞা বলিলে তন্মধ্যে শ্রুতি-স্মৃডিও ধরিতে হয়, কিন্তু শ্রুতি-স্মৃত্তিতে তৎকালে শূদ্রের অধিকার ছিল না। এরূপ স্থলে ঐ সকল কল্পিত শ্লোকের যে কিছুমাত্র মূল্য নাই এবং ঐ শ্লোকের উপর নির্ভর করিয়া যে গৌড়ে ব্রাহ্মণকায়স্থাগমন সম্বন্ধে কোন কথাই বলা চলে না, তাহ সহজেই স্বীকার করিতে হইবে। শৰকল্পদ্রমের ঐ সকল অমূলক ও কাল্পনিক বচন চাইতে সাধারণের ভ্রান্তধারণা হইয়াছে বলিয়াই এখানে তাহার প্রসঙ্গ উত্থাপন করিতে হইল। বাস্তবিক সুপ্রাচীন কুলগ্রন্থ হইতেই আমরা জানিতে পারিতেছি যে, ভট্টনারায়ণাদি পঞ্চ ব্রাহ্মণ আদিশূরের যজ্ঞ করিতে আসেন নাই, এবং তাহার সহিত মকরন ঘোষাদিরও আসিবার প্রয়োজন হয় নাই। आर्बि खबरख्ब अङ्गनम्बन्न শতাধিক বর্ষ পরে মকরুন্দ ঘোষাদির জন্ম হইয়াছিল, তাহ যথাস্থানে আলোচিত হইয়াছে। চীনপরিব্রাজক টিউএন্‌সিয়ং পৌঁও,বদ্ধনে আসিয়া এখানকার যেরূপ সমৃদ্ধি দর্শন করির গিয়াছেন, গোঁড়াধিপ জয়স্তের আধিপত্যকালেও এখানকার পূর্ব অনন্তন সময় "ড়" শব" সমৃদ্ধির কিছুমাত্র স্বাস হয় নাই। রাজতরঙ্গিণীতে লিখিত আছে, যে সময় জয়াপীড় গৌড়ে আগমন করেন, তৎকালে এই রাজ্য স্বশাসিত, সমৃদ্ধিশালী ও সুখশান্তিবিরাজিত ছিল। এখানকার অধিবাসিগণ বিস্কামুরাগী ও বড়ই সঙ্গীতপ্রিয় ছিলেন। শুৎকালে পেও বদ্ধনে কাস্তিকেয়-মন্দিরে যথেষ্ট আমোদ প্রমোদ ও নাট্যাভিনয় হইত। রাজধানীর বড় বড় লোক তাহাতে যোগদান করিতেন। এমনচ্ছঙ্গারপতি জয়াপীড়ও এখানে ছদ্মবেশে নৃত্যাভিনয় দেখিতে আসেন। এখানকার দেবনৰ্বক্ষ মেলার মৃত্যদর্শনে কাশ্মীরপতিও চমৎকৃত হইয়াছিলেন। এমন কি কাশ্মীরপতি লুকাইয়া লুকাইয়া সেই নর্তকীর গৃহে যাতাস্নাত করিতেন। সেই রমণীর ঐশ্বৰ্য্য ও সাজসজ্জাদর্শনে কাশ্মীরপতিও অবাক হইয়াছিলেন। সেই রমণী সোণার খাটে শয়ন করিত, সোণার পাত্র ব্যবহার করিত, কাশ্মীরপতির সহিণ্ড সংস্কৃতভাষায় কথা কহিত । ইহাতে মনে হয় যে তৎকালে গৌড়ে যথেষ্ট সংস্কৃতভাষার চর্চা ছিল, সেই নর্তকীর রূপে গুণে কাশ্মীরপতি এরূপ মুগ্ধ হইয়াছিলেন যে, গৌড়রাজকন্ত। কল্যাণদেবীকে বিবাহ করিয়া কাশ্মীরে ফিরিবার সময় তিনি দেবনৰ্তকী কমলাকে ও পত্নীরূপে কাশ্মীরে লইয়া গিয়াছিলেন। তৎকালে দেবনৰ্বকাগণের সমাজে একটু উচ্চস্থান ছিল বলিয়াই মনে হয় | r আদিপুর-জয়স্তের সময় যে ভাবে পুনরায় ব্রাহ্মণ্যধৰ্ম্মের প্রতিষ্ঠা হইয়াছিল, পূৰ্ব্বেই সংক্ষেপে তাহার আভাস দিয়াছি। হর্ষদেব ও শশাঙ্কদেবের সময় হইতে শৈবধর্শের বিস্তার হইতেছিল। জয়স্তের সময় তাহার প্রসার আরও বৃদ্ধি হইয়াছিল। বৈদিকগণও এ সময়ে শৈবধৰ্ম্মে আস্থা প্রদর্শন করিতেছিলেন। বৌদ্ধ ও জৈন জনসাধারণও অনেকে শৈবধর্শের অনুবর্তী হইতেছিলেন। তৎকালে সাতশতী ব্রাহ্মণগণের মধ্যে অনেকেই বৈষ্ণব ছিলেন । এ সময় তান্ত্রিকDDDD DD DDD DBBB BS BB BBBB DD BB BBBB BBBBB BBBS