প্রয়াগ। ] . لان উপার্জন করেন। রামধন বাবুর ন্যায় ধনীর কথা এলাহাবাদে অল্পই শুনা যায়। র্তাহার ঐশ্বর্য এক্ষণে উপন্যাসে পরিণত হইয়াছে। তাঁহার এক পুত্র প্যারি- ; মোহন, রেলের কণ্টাক্টার ছিলেন। অন্য দুই পুত্ৰ হইতে র্তাহার স্থাবর অস্থাবর - সমুদয় সম্পত্তি বিনষ্ট হয়। গঙ্গাযমুনা-সঙ্গমের নিকট তীহার ১২ মহল প্রাসাদ । ছিল এবং জস্র নামক স্থানে সুবিস্তৃত জমিদারী ছিল। কীড়গঞ্জের যমুনার ধারে যে সর্বপ্রথম প্রস্তরনিৰ্ম্মিত সুপ্ৰশস্ত ঘাট নিৰ্ম্মিত হয় তাহা রামধন বাবুই নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন। ঐ ঘাটের নাম ছিল “বাবুঘাট”। দেশবিশ্রুত যমুনালহরীর কবি বাবু গোবিন্দচন্দ্র রায় ঐ ঘাটে বসিয়া “নিৰ্ম্মল সলিলে বহিছে সদা তাঁটশালিনী সুন্দরী যমুনে ও * প্রভৃতি প্ৰাণোন্মাদকারী স্বৰ্গীয় সংগীতে যমুনাপুলিন প্লাবিত করিতেন। বাবুঘাটের প্রস্তরগুলি পৰ্যন্ত পরে নিলাম হৃষ্টয়া যায় এবং শেষে যমুনার প্রবল স্রোতে প্রবাসী বাঙ্গালীর সেই কীৰ্ত্তি ভাসাইয়া দেয়। কিন্তু বাবুঘাটের নাম আজিও লোপ পায় নাই। প্রায় ২৫/২৬ বৎসর হইল ( ৩০৮ সালে) রামধন বাবুর মৃত্যু হইয়াছে। কথিত আছে মৃত্যুকালে তিনি ত্ৰিশ লক্ষ টাকা রাখিয়া যান। এক্ষণে এলাহাবাদে দুর্গের সম্মুখস্থ “লালকুঠি” র্তাহার স্মৃতি বহন করিতেছে মাত্র। ঐ কুঠা পরে প্রয়াগবাসী স্বৰ্গীয় চারুচন্দ্র মিত্রের অধিকারে আসিয়াছিল। চারুবাবুর পিতা, এলাহাবাদের বিখ্যাত নীলকমল মিত্রের নাম স্থানীয় সকলের নিকট সুপরিচিত। কলিকাতার ইডেন উদ্যানের ন্যায় সুবিস্তৃত গবৰ্ণমেণ্টের উদ্যান “আলফ্রেড পার্কের” মধ্যস্থলে স্থানীয় জনসাধারণের সান্ধ্যভ্রমণ এবং বিশ্রামের জন্য যে পুষ্পবৃক্ষ-বেষ্টিত-ভূমির মধ্যস্থ প্রস্তরবেদী দেখিতে পাওয়া যায়, (এক্ষণে যাহা ব্যাণ্ড ষ্ট্যাণ্ড হইয়াছে) তাহা নীলকমল মিত্ৰমহাশয়ের কীৰ্ত্তি। র্তাহার ব্যবসায় এতদঞ্চলের প্রায় সকল প্রধান প্ৰধান সহরে বিস্তৃত ছিল। এ প্রদেশে যাহারা ইংরেজী-শিক্ষাবিস্তার এবং স্কুলকলেজের প্রবর্তন করিয়াছিলেন, বাবু নীলকমল মিত্র তাঁহাদের অন্যতম ছিলেন। যথাস্থানে সে সমুদ্ৰয়ের উল্লেখ দৃষ্ট হইবে। বারাণসীর রিখ্যাত চৌধুরী বংশসস্তৃত ৬/ রামেশ্বর চৌধুরী অল্পবয়সে গৃহত্যাগ করিয়া পৰ্যটন করিতে করিতে প্ৰয়াগে আসিয়া উপস্থিত হন। শুনা যায় তাহার গলগণ্ড বা গণ্ডমালা দেখিয়া পরিবারের মধ্যে কেহ কেহ তাঁহাকে ঘৃণা করিতেন। র্তাহার গৃহত্যাগের ইহাই কারণ। প্ৰয়াগের সন্নিকটে জনৈক সন্ন্যাসীর সহিত ।
