পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী موا চারি শত বৎসর পূৰ্ব্বে চৈতন্যদেব প্রয়াগ-প্রবাস করিয়া গিয়াছিলেন। তিনি শ্ৰীৰূপ গোস্বামীকে এখানেই দীক্ষা দেন এবং তজ্জন্য দশাশ্বমেধের মন্দিরে দশদিন অবস্থান করেন। চৈতন্যদেব এখানে অবস্থানকালে যমুনার পরপারস্থ বল্লভভট্টের অতিথি হইয়াছিলেন। যাহারা বঙ্গদেশ হইতে বৃন্দাবনে গিয়া উপনিবেশ স্থাপন করিয়াছিলেন। তঁহাদের অনেকেই প্ৰথমে কাশী এবং তৎপরে প্রয়াগে বাস করিয়া গিয়াছেন । k . কলিকাতা শোভাবাজারের বিখ্যাত রাজা নবকৃষ্ণ দেব, যিনি ইংরেজের পক্ষ হইতে রাজা সীতাব রায়ের সহিত বিহার-প্রদেশের এবং মহারাজ বলবন্তসিংহের সহিত ধারাণসীর বন্দোবস্ত করিয়া দেন, তিনি ১৭৬৫ অব্দে লর্ড ক্লাইবের সঙ্গে একবার এলাহাবাদ আগমন করেন। সেই সময় সম্রাট সাহ আলম তীহাকে রাজা বাহাদুর উপাধি, পাঁচহাজারী মনসবদারী, তিন সহস্ৰ অশ্বারোহী প্ৰভৃতি দান করেন। পর বৎসর অর্থাৎ ১৭৬৬ অব্দে তিনি চার হাজার অশ্বারোহী রাখিবার অধিকার সহ ৬ হাজারী মনসবদার হন। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষে যিনি বর্গীর হাঙ্গামার সময় নবাব আলীবর্দী খাঁর খাজাঞ্চীখানায় কৰ্ম্ম করিতে করিতে বগীর হাতে প্ৰাণবিসৰ্জন করেন, সেই নোয়াখালির নিমক-মহলের দেওয়ান রামহরি বিশ্বাসের পুত্র জগমোহন বিশ্বাস, লর্ড কর্ণওয়ালিসের আমলে দশশালা বন্দোবস্তের সময় এলাহাবাদে এবং তাহার উপকণ্ঠস্থ স্থানসমূহে রাজা ও জমীদারদিগের সহিত বন্দোবস্ত করিবার দেওয়ানীভার প্রাপ্ত হইয়া এলাহাবাদ প্রবাসী হন। তৎপূর্বে এখানে যে সকল যাত্রী থাকিতেন, ইষ্টইণ্ডিয়া কোম্পানী তাহাদিগের নিকট হইতে করম্বরূপ অর্থ গ্ৰহণ করিতেন। হিন্দুর প্রধান তীর্থে এরূপ যাত্রী-কার জনসাধারণের নিতান্তই অসুবিধাজনক ছিল। দেওয়ান জগমোহন বিশ্বাস কোম্পানীকে এককালে দুই লক্ষ টাকা দিয়া ঐ করগ্রহণ প্রথা উঠাইয়া দেন। একশতাব্দী গত হইল মহাত্মা কেশবচন্দ্র সেনের পিতামহ দেওয়ান রামকমল সেন কোন কৰ্ম্মোপলক্ষে অযোধ্যার নবাবের সহিত সাক্ষাৎ করিতে যান। ৬। রামধন। মুখােপাধ্যায় তাহার সমভিবাহারে ছিলেন। রামকমল বাবু রামধন বাবুকে প্রয়াগে রাখিয়া যান। তিনি কলিকাতা ভবানীপুর হইতে আসিয়াছিলেন। শুনা যায় প্ৰথমে তিনি ওভারসিয়ারের কৰ্ম্ম গ্ৰহণ করেন, তাহার পর পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্টের ব্যারিক মাষ্টার এবং শেষে ফোর্টের "কনট্রাক্টর” হইয়া প্রকৃত অৰ্থ