পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰয়াগ । se: সেনার অধিনায়ক হইয়া এই মানমন্দিরকে স্বীয় মন্ত্রণাগৃহ করিয়াছিল। এই সময় ইহার যাবতীয় যন্ত্র লুষ্ঠিত হয়। বাবাজী তখন এক গুপ্তস্থানে লুকাইয়া । প্রাণরক্ষা করেন। এখানকার কৰ্ম্ম যাইলে মাধবদাস বাবাজী প্ৰথমে বেগমের কুন্তীতে এবং পরে অযোধ্যা ইংরেজরাজ্যভুক্ত হইলে ট্রেজরিতে কৰ্ম্ম প্রাপ্ত হন। ৭০২ টাকা পৰ্যন্ত র্তাহার মাসিক বেতন হইয়াছিল। কিন্তু তিনি অতি অল্পকাল Si stri oVe (Political Pension) corris è il93 cefatiz হইতে দূরে স্বীয় আশ্রমকুটীরে আশ্রয় লয়েন। এই আশ্রম মহারাজের মন্দির বলিয়া প্ৰসিদ্ধ। ইহার অপর নাম “মাধো কুঞ্জ ।” ইতিপূৰ্ব্বে উক্ত হইয়াছে সিপাহী-বিদ্রোহের সময় বাবাজীকে লুকাইয়া থাকিতে । হইয়াছিল। এ সম্বন্ধে এখানে আরও দুই একটী কথা বলা আবশ্যক। অনেকের ধারণা বিদ্রোহের গোলমালে অনেক বাঙ্গালী ধনপতি হইয়া গিয়াছেন। কিন্তু আমরা ভূরি ভূরি দৃষ্টাস্তের দ্বারা দেখাইতে পারি যে অনেক লক্ষপতি বাঙ্গালী সে সময় কপৰ্দকশূন্য ভিখারী হইয়াছেন। অনেকে ছদ্মবেশে কৌপীন সম্বল করিয়া । প্ৰাণে প্ৰাণে বাঁচিয়া গিয়াছেন। কত প্রবাসী প্রিয় পরিজনশূন্য হইয়া অনাহারে । নরঘাতকের হস্তে প্ৰাণ বিসর্জন করিয়াছেন এবং বঙ্গদেশ হইতেও যাহা কিছু লইয়া আসিয়াছিলেন সে সমুদয় প্রবাসের মৃত্তিকাগর্ভে সমাধিস্থ করিয়া গিয়াছেন। ; গোলগঞ্জের ডাক্তার সেবারামের বাটির পার্থেই মাধবদাস বাবাজী আশ্রয় লইয়া- ৷ ছিলেন। ডাক্তার সেবারাম নবাব সৈন্যাধ্যক্ষ কাপ্তেন ম্যাগনিস সাহেবের সামরিক | চিকিৎসক ছিলেন। তঁহার উপর বিদ্রোহীদিগের সন্দেহভৃষ্টি পতিত হইলে । তাহারা তাঁহার বাটী ভূমিসাৎ করিয়া দেয়। ডাক্তার সেবারাম কানপুর পলাইয়া । জীবন রক্ষা করেন। বাবাজী এখন বলদেও নামক এক বিশ্বস্তু ব্যক্তির बौद्र “তায়খানার” ভিতর লুক্কায়িত থাকিয়া উন্মত্ত সিপাহীদিগের হস্ত হইতে রক্ষা পান। লক্ষে এ শান্তি স্থাপিত হইলে বাবাজী যখন বেগমের কুঠতে কৰ্ম্ম করিতে থাকেন, সেই সময়ের একটী বিশেষ ঘটনা তাহার অবশিষ্ট জীবনের গতি ফিরাইয়া । দেয়। লক্ষ্মেীএ তখন কয়েকজন প্রসিদ্ধ মুসলমান ফকীর ছিলেন। তন্মধ্যে - চুপ সাহ ওরফে সৈয়দ মহম্মদ আলী সাহ, সৈয়দ আজমসাহ ওরফে কলেক্টর সাহ, - ইনি পথে বাহির হইলেই সন্মুখে একজন দামামা বা উদ্ধা বাজাইতে বাজাইতে চলিত। '