পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/২৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

区骄两8研1 SSoG` কোন এক রাজাকে স্বাক্ষর করিতে নিষেধ করিয়াছেন এই সন্দেহে তৎকালীন সরকার পক্ষীয় রেসিডেণ্ট সার চালর্স মেটকাফ তঁহাকে দিল্লী লইয়া যান, কিন্তু অনুসন্ধানে তঁহাকে সম্পূর্ণ নিৰ্দোষ জানিয়া দিল্লী সম্রাটের নিকট পরিচিত করিয়া দেন। সম্রাট তঁাহার সম্বদ্ধনা করতঃ তাহাকে ‘মহারাজা” উপাধি দান করিতে চাহিলে তিনি যথোচিত বিনয়ের সহিত উপাধি গ্রহণে অস্বীকার প্রকাশ করেন। কিন্তু দিল্লী হইতে প্রত্যাগমনকালে তাহার প্রতিষ্ঠিত মন্দিরাদির পােষণার্থ মথুরা জেলার ১৫ খানি গ্রাম ক্ৰয় করিবার বন্দোবস্ত করিয়া আইসেন। মথুরায় যে জমিদারী ক্ৰয় করেন তাহার লক্ষাধিক টাকা আয় ছিল। তাহা হইতে মন্দিরের বায় নিৰ্ব্বাহের পর অবশিষ্ট আয় হইতে প্রতি বৎসর ২২০০০২ টাকা অন্নসত্রের পোষণার্থ নিদ্ধারিত হয়। এই অন্নসত্ৰ ব্ৰজমণ্ডলে নিরাশ্রয় বাঙ্গালীর আশ্রয় স্থল । এই জমিদারী লইয়া মথুরার শেঠদিগের সহিত লালাবাবুর ঘোরতর বিবাদ এবং মোকদ্দমা হয়। এই সুত্রে পার্থিব সম্পদ, আত্মাভিমান প্ৰভৃতির উপর তঁাহার ক্রমেই বীতরাগ হয়। তিনি যৎসামান্য প্ৰসাদ ভোজন করতঃ দিবারাত্র হরিনাম করিয়া দিনপাত করিতে থাকেন, বৃন্দাবনে তখন ভক্তমাল গ্রন্থের বঙ্গানুবাদক সাধকচুড়ামণি পরম বৈষ্ণৰ কৃষ্ণদাস বাবাজী বিরাজ করিতেছিলেন। র্তাহার সাধুতা, তাহার অসীম পাণ্ডিত্য, তাহার অহঙ্কার শূন্যতা এবং অসামান্য ভগবদ্ভক্তির কথা লালাবাবুর কর্ণগোচর হইয়াছিল। তিনি বাবাজীর নিকট দীক্ষাগ্ৰহণ করিবার জন্য ব্যাকুল হইলেন। ইতিপূৰ্ব্বে লালাবাবুর পূর্বাবস্থা তাহার বৈরাগ্য, দৈন্য, দয়া, দাক্ষিণ্য ও বিনয়াদি গুণগ্রামের বিষয় বাবাজীরও শুনিতে বাকী ছিল না । তিনিও লালাবাবুর প্রতি সমধিক আকৃষ্ট হইয়াছিলেন। কিন্তু এ পৰ্য্যন্ত উভয়ের সহিত উভয়ের সাক্ষাৎ হয় নাই। এক দিন লালাবাবু বাবাজীর আশ্রমে গিয়া উপস্থিত হইলেন এবং দীনভাবে স্বীয় অভিলাষ ব্যক্ত করিলেন। বাবাজী তাহার যথেষ্ট সম্বৰ্দ্ধনা করিলেন। উপযুক্ত গুরুর নিকট উপযুক্ত শিষ্য দীক্ষাগ্রহণে আগ্ৰহ প্ৰকাশ করিতেছেন। এমন বিশুদ্ধচরিত্র সংসারবিরক্ত ভগবদ্ভক্ত স্বনামখ্যাত শিষ্য পাইলে দীক্ষাগুরু বিলম্ব করিবেন কি আপনাকেই ধন্য মনে করেন । কিন্তু সাধুগণের চরিত্র কি বিচিত্র; কৃষ্ণদাস বাবাজী পরমাদরে গ্ৰহণ করিয়া দীন ও করুণ বচনে কহিলেন, “বাবা তোমার দীক্ষা গ্রহণে এখনও কিঞ্চিৎ বিলম্ব আছে। আরও কিছুদিন বিলম্ব কর।” বাবাজীর বাক্যে লালাবাবু দুঃখ ও