পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৪৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অযোধ্যা প্ৰদেশ ᏬᏳts9b লক্ষ্মেীপ্রবাসে আগমন করেন, তখন হকীমী চিকিৎসার বড়ই প্রদুর্ভাব ছিল। এলোপ্যাথিক চিকিৎসায় প্রত্যেক ঔষধে মুসলমানের নিষিদ্ধ মদ্য মিশ্রিত থাকে, এই বিশ্বাস মুসলমান প্ৰধান লক্ষ্মেীয়ে ইহার গতিরোধ করিয়া রাখিয়াছিল। মুসলমানসম্প্রদায় হিন্দু অপেক্ষা অধিক রক্ষণশীল। কিন্তু নবীন বাবুর দক্ষতা, সদৃদ্ধি, সৌজন্য ও চিকিৎসা গুণের সম্মুখে পূৰ্ব্ব কুসংস্কার আর টিকিতে পারে নাই। স্বয়ং লক্ষৌয়ের নবাব, উমরা ও রাইসগণকে আপনার ও পরিবারবর্গের চিকিৎসার ভার নবীন বাবুর হস্তে অৰ্পণ করিতে দেখিয়া জনসাধারণ যুরোপীয় চিকিৎসার প্রতি শ্ৰদ্ধাবান হইতে লাগিল। সুতরাং তঁাহার পূর্ব ও পরবত্তী কয়েকজন প্ৰথিতনাম ডাক্তারের ন্যায়। নবীনচন্দ্ৰ মিত্রও এ প্রদেশে যুরোপীয় চিকিৎসা-প্ৰণালী লোকপ্রিয় করিয়া গিয়াছেন। এসম্বন্ধে তিনি এতদূর কৃতকাৰ্য্য হন যে, নবাব ওয়াজীদ আলী সাহেব চিকিৎসক এবং দিল্লীর বাদাসাহের সুবিখ্যাত ফয়জাবাদ নিবাসী হকীমদ্বয় ডাক্তার নবীনচন্দ্ৰ মিত্রের চিকিৎসাধীন হন। কিন্তু ইহাতেই তেঁাহার গৌরবের শেষ হয় নাই। মুজতাহিদ অর্থাৎ সিয়া সম্প্রদায়ের প্রধান ধৰ্ম্মগুরু ( Spiritual leader ) এবং সিয়াধৰ্ম্মী অযোধ্যাধিপ রজনীযোগে নবীন বাবুর সহিত সাক্ষাৎ করিতে তাহার ভিক্টোরিয়া하g쟁 কুঠতে আসিতেন এবং তঁাহার নিকট হইতে ব্যবস্থা লইতেন । সার এণ্টনি ম্যাকডোনালড বাহাদুরের শাসনকালে যখন প্লেগভীতি এবং গভর্ণমেণ্টের প্ৰতি জনসাধারণের অবিশ্বাস চরমে পৌছিয়াছিল, তখন লক্ষ্মেীয়ের অসংখ্য লোক সম্প্রদায়নির্বিশেষে সম্মিলিত হইয়া ছোটলাট সমীপে এক দরখাস্ত করে । তাহাতে ডাক্তার নবীনচন্দ্ৰ মিত্রের নামের বিশেষ উল্লেখ সহ লিখিত ছিল যে, তঁাহার। উপর সকল সম্প্রদায়ের লোকের পূর্ণ বিশ্বাস আছে এবং তিনি যে ব্যাধিকে প্ৰকৃত প্লেগ বলিয়া মত প্ৰকাশ করিবেন তাহা প্ৰজাসাধারণ অসঙ্কোচে গ্ৰহণ করিবে। সুদূর প্রবাসে আসিয়া ভিন্ন প্ৰদেশীয় জনসাধারণের এরূপ প্ৰগাঢ় অনুরাগ এবং বিশ্বাস অর্জন করা কয়জনের ভাগ্যে ঘটিয়া থাকে ? কয়েকখানি གྱི་སྐད་ উপন্যাসের কয়েকটী উন্নত চরিত্রের মধ্যে তিনি স্থান পাইয়াছেন। পরলোকগত পণ্ডিত রতননাথ ঠাহাকেই আদর্শ করিয়া ঠাঁহার উপন্যাসোত্ত প্ৰধান ব্যক্তিগণের চরিত্র অঙ্কিত করিয়াছেন । নবীন বাবু যে কেবল সুচিকিৎসক বলিয়া। এতদূর প্রতিষ্ঠালাভ করিয়াছিলেন। R O