পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৪৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৯০ বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী । বড়বাকী লক্ষ্মেী হইতে ১৭ মাইল পূর্বদিকে ফয়জাবাদের পথে অবস্থিত। মিউটনীর সময় সারা হোপগ্ৰণ্ট ইহার অন্তৰ্গত নবাবগঞ্জ স্থানে বিদ্রোহীদিগকে সম্পূর্ণ পরাভূত করিয়াছিলেন। বড়বাকীর অন্তর্গত রোদ্দৌলী বা রুদ্দৌলী নগর মুসলমানদিগের একটী প্ৰসিদ্ধ পীঠস্থান। মুসলমানগণ ইহাকে “রোদ্দৌলীসৱীফ” বলিয়া থাকেন। ইহা প্ৰসিদ্ধ মুসলমান ফকীর মহম্মদী সা’র গুরুপীঠ সুতরাং মুসলমানদিগের মহাতীৰ্থক্ষেত্র। এখানে পীড়িত ও বিপন্ন মুসলমান নরনারী শান্তি ও উদ্ধার কামনায় দেশবিদেশ হইতে আসিয়া মানত করিয়া যায়। প্ৰতিবৎসর এখানে মহাসমারোহে মেলা বসিয়া থাকে। সপ্তদশ শতাব্দীর শেষাৰ্দ্ধে । সম্রাট আলমগীর ইহার সুবিস্তীর্ণ ভূসম্পত্তি দেবােত্তর স্বরূপ প্ৰদান করেন। রুদ্দৌলীসরীফের যিনি গদ্দীনসীন অর্থাৎ গদির উত্তরাধিকারী তাহার উপাধি সাহজাদা নসীন। সাহজাদা অপেক্ষ তাহার প্রভাব কোন অংশে নৃন নহে। এ স্থান রুড়কীর অনতিদূরবত্তী “পীরা নকলিয়ার” এর ন্যায় মুসলমান তীর্থযাত্রীদিগের দ্বারা নিত্যসেবিত । “দেবাসরীফ” নামে এই জেলায় মুসলমানদিগের আর একটি পবিত্র তীর্থক্ষেত্র আছে। ঐ স্থান “ওয়ারসি” সম্প্রদায় প্ৰবৰ্ত্তক হাজী ওয়ারিস আলী সাহের আস্তানা। হাজী সাহেবের হিন্দু মুসলমান উভয় জাতীয় মন্ত্রশিষ্য ভারতবর্ষের নানাস্থানে বিদ্যমান। তঁহার হিন্দুশিষ্যগণ এই সম্প্রদায়কে “প্রেমপন্থ” * নামে অভিহিত করেন। হাজী সাহেব কখন কখন হিন্দুশিষ্যকে মুসলমানের কলমা দিতেন এবং মুসলমান শিষ্যকে হিন্দুর ইষ্ট মন্ত্র জপ করিতে দিতেন। আলীগড়ে তাহার এক শিষ্যের সহিত আমাদের আলাপ হইয়াছিল। তঁহার নাম “আলিক্স” তিনি এক্ষণে ফকারী লইয়াছেন। পূৰ্ব্বে তিনি গয়া জেলার জনৈক ব্ৰাহ্মণকুমার ছিলেন। আলীগড়ের বর্তমান উকীল বাবু কানহাইয়ালাল, হাজী সাহেবের মন্ত্রশিষ্য। কলিকাতা হাইকোর্টের অন্যতম জজ মাননীয় শ্ৰীযুক্ত সরীফ-উদ্দীন সাহেব তাহার শিষ্য। ভাগলপুরের জনৈক বাঙ্গালী তাহার মন্ত্ৰশিষ্য, তিনি ঘড়ীর কাজ করিতেন, ওয়ারসী সম্প্রদায়ভুক্ত হইবার পর তাহার নাম হয় “মহাদেব বক্স”। . • • হাজী সাহেবের শিষ্য সৈয়দ बारश्णांना नार बरे गायनान नऊ राष्ट्रक “वश्विजिरु।’ নামে একখানি গ্ৰন্থ লিখিয়াছেন। . .