পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৬৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(8R বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী । সংসারিক অসচ্ছলতা দূর করিবার পক্ষে বৃদ্ধ পিতাকে সহায়তা করিবেন। এই আশায় প্রথমে উল্লসিত মনে উৎসাহের সহিত কাৰ্য্য করিতে আরম্ভ করেন। কিন্তু দুৰ্ভাগ্যক্রমে এই সুত্ৰে টেণ্ডার গ্রহণে অকৃতকাৰ্য্য সহযোগীদিগের শক্রিতায় তঁহাকে কৰ্ম্ম পৰ্যন্ত পরিত্যাগ করিয়া কিছুকাল গৃহে বেকার বসিয়া থাকিতে হয়। অতঃপর, তিনি স্বাধীনভাবে কৰ্ম্ম করিবার মানসে শালিখায় ময়দার কল নিম্মাণ করিতে কৃতসঙ্কল্প হন, কিন্তু অর্থাভাবই ইহার একমাত্র অন্তরায় বুঝিয়া ঋণগ্ৰস্ত হইয়াও ঐ ইচ্ছা কাৰ্য্যে পরিণত করেন । তঁহার ঋণদাতা প্ৰথমে তাহার ময়দার কলের অংশীদার হইয়াছিলেন। কিন্তু ইহাতে যে সামান্য লাভ হইত। তাহা বিভাগ করিলে কাহারও বিশেষ সাহায্য হইবে না বুঝিয়া—এবং “আমার টাকা এখন চাহি না, ভবিষ্যতে তোমার অবস্থার উন্নতি হইলে যখন ইচ্ছা শোধ করিও” এই বলিয়া তিনি রাজকৃষ্ণ বাবুকেই একমাত্র সত্ত্বাধিকারী করত নিজে কলের সংশ্রব ত্যাগ করেন। কিন্তু এই সদায় বন্ধুর সাহায্য পাইয়া ও রাজকৃষ্ণবাবু আশানুরূপ ফললাভ করিতে পারিলেন না। প্ৰসিদ্ধ আশ্বিনে ঝড়ের সময় এই কল নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল, প্রকৃতই বহু ঝড় ঝঞ্চা বাধা বিস্তু ঠেলিয়া অক্লান্ত পরিশ্রমে যে কল স্থাপন করিয়াছিলেন প্রয়োজনানুরূপ অর্থাভাবে তাহা বেশী দিন স্থায়ী হইল না, অপেক্ষাকৃত অল্প মূল্যে তিনি ঊহ্য বিক্রয় করিতে বাধ্য হইলেন। ইতিমধ্যে তঁহার পিতৃবিয়োগ, ভ্রাতার সহিত মনস্তর এবং সেই সুত্রে মাতৃভূমি দফরপুর পরিত্যাগ করিয়া বেলুড়ে বাসস্থাপন প্রভৃতিতে কিছুকাল তঁহাকে বড়ই বিব্রত হইয়া পড়িতে হয়। ময়দার কল বিক্ৰয় করিয়া রাজকৃষ্ণবাবু কয়েক মাস ঘুসুড়ির পুরাতন স্থতার কলে কাৰ্য্য করিয়৷ কলিকাতা টাঁকশালে ( Govt. mint ) ত্ৰিশ টাকা বেতনে কৰ্ম্ম আরম্ভ করেন । এখানে তঁহাকে একটী সম্পূর্ণ নূতন বিভাগের সমুদয় মেসিন প্রস্তুত করিতে ও চালাষ্টিতে হইয়াছিল। এই সময় সিমলা পাহাড়ের নিকটস্থ কশোলী নামক স্থানে সৈন্যদের রসদ যোগাইবার জন্য ময়দা ও পাউরুটির কল বসাইবার প্রয়োজন হওয়ায় গবৰ্ণমেণ্টের রসদ বিভাগ (Govt. Commissariat) *èto fatè3 *aî88vièo 7 (RCR3 foot একজন সুদক্ষ কারিগর পাঠাইবার জন্য পত্র আসে ; তিনি সকল কারিগরকে ডাকিয়া কশোলী যাইবার প্রস্তাব করেন। রাজকৃষ্ণবাবু ব্যতীত আর কোন কারিগর ঐ সুদূর বিদেশে যাইতে রাজী না হওয়ায় তিনি কশোলী যাত্রা করেন।