পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৬৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(8b. বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী । হইয়াছিল। স্থানীয় কারিগরেরা হাতের মাত্র কাজ জানিত, এবং যন্ত্র ব্যবহারে সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ ছিল। পূর্বে তাহার হাতেই বন্দুক ও কামান প্রভৃতি তৈয়ার করিত । আমীর প্রতি সপ্তাহে একবার কারখানা দেখিতে আসিতেন । রাজকৃষ্ণ বাবু তঁহার গমনাগমনের জন্য দরবার হইতে কারখানা পৰ্যন্ত রেল লাইন পাতিয়া দেন। এজন্য হিন্দুস্থান হইতে একটী পাচ ঘোড়া জোরের এঞ্জিন ( Locomotive engine) আনা হইয়াছিল। কিন্তু এঞ্জিনের উত্তাপে আমীরের कछे ठू७शाश्न छेछे ইণ্ডিয়া রেল কোম্পানীর প্রথম শ্রেণীর গাড়ীর মত একখানি গাড়ী তৈয়ার করা হয়। এ সমুদয় কাৰ্য্য রাজকৃষ্ণবাবু ও র্তাহার সঙ্গিগণের দ্বারাই সম্পাদিত छ्रुंवांछिळ । ছয়মাস পরে কারখানা প্ৰস্তুত হইয়া যে দিন সৰ্ব্বপ্রথম কল চালান হয় সেদিন আমীর সাহেব স্বয়ং উপস্থিত থাকিয়া কল সমূহ সুচারুরূপে চলিতে দেখিয়া অতিশয় আনন্দ প্ৰকাশ করেন এবং ঐ সঙ্গে তঁাহার পুরোহিত মুল্লা সাহেব আসিয়া এই কারখানার প্রত্যেক যন্ত্রটিকে আফগান শাস্ত্ৰমতে পূজা করেন । ইহার পর আমীরের আদেশে সকলের জলযোগের নিমিত্ত মিষ্টান্ন ও মেওয়া বিতরিত হয় এবং ১৩জন বাঙ্গালীকে আমীর উচ্চপদস্থ ও সন্ত্রান্ত ব্যক্তিদিগের ব্যবহাৰ্য্য লুঙ্গীর পাগড়ী উপহার দিয়া বিশেষভাবে সম্মানিত করিয়া প্ৰস্থান করেন। এগ্রিমেণ্ট অনুসারে আড়াই বৎসর পূর্ণ হইলে, রাজকৃষ্ণবাবু সঙ্গিগণের সহিত আমীরের নিকট বিদায় প্রার্থনা করেন । আমীর তঁহাদের কাৰ্য্যের জন্য যারপর নাই সন্তোষ প্ৰকাশ করিয়া ও পুরস্কৃত করিয়া বিদায় দেন। রাজকৃষ্ণ বাবুকে তিনি একখানি নিদর্শনপত্ৰসহ একটি উৎকৃষ্ট অটােমেটিক ঘড়ি, কাবুলের একখানি সব্বোৎকৃষ্ট গালিচা, নগদ দুইশত টাকা এবং একটি উত্তম অশ্ব পুরস্কারস্বরূপ দেন এবং বলেন “তোমরা পুনরায় আসিও, এবার তোমার ৫০০২ টাকা বেতন করিয়া দিব ।” আমীরের সদাশয়তায় তঁহাদের কাবুল প্রবাস যথেষ্ট সুখপ্রদ হইয়াছিল, তাহারা যখন কারখানায় কৰ্ম্ম করিতেন প্ৰতি সপ্তাহে আমীর ভবন হইতে ষ্ঠাতাদের জন্য রাজভোগের উপযোগী মেওয়া প্ৰভৃতি খাদ্য সামগ্ৰী আসিত এবং আমীর প্রত্যহ তঁহাদের সকলের কুশল সংবাদ লইতেন। কাবুলে থাকিতে একবার রাজকৃষ্ণ বাবুর প্রাণসংশয়কর বিপদ ঘটিয়াছিল, তিনি একদিন সন্ধ্যার