পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sir বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী । of the Church Society. One of the most important results of his labours was, that he acted as medium between a rich native, Rajah Joy Narain, and the Calcutta Corresponding Committee of the Society, in the transfer of a school which that native gentleman had started together with a valuable endowment which he attached to it. The School, which had been in existence several years under the direct supervision of the rajah, was made over to the Society by deed of gift on the 21st October 88. সাহিত্যানুরাগ এবং কবিত্বশক্তিও তঁাহার সামান্য ছিল না । তিনি একজন সুকবি বলিয়া প্ৰসিদ্ধ ছিলেন। তিনি শঙ্করী-সঙ্গীত, ব্ৰাহ্মণার্চনচন্দ্ৰিকা, ও জয়নারায়ণ কল্পদ্রুম নামে তিনখানি সংস্কৃত গ্ৰন্থ প্ৰণয়ন করেন, এবং করুণানিধান বিলাস নামক শ্ৰীকৃষ্ণলীলা বিষয়ে বাঙ্গালা গ্ৰন্থ রচনা করেন। কাশীখণ্ডের বঙ্গানুবাদ প্ৰকাশ র্তাহার অক্ষয়কীৰ্ত্তি। ঐ গ্ৰন্থ সম্বন্ধে কাশীপরিক্রমী-সম্পাদক প্ৰাচ্যবিদ্যামহার্ণব নগেন্দ্রনাথ বসু মহাশয় লিখিয়াছেন যে ১৭৯২ খৃঃ অব্দের পৌষমাসে শূদ্ৰমণিবংশীয় নৃসিংহদেব রায় কবি জয়নারায়ণের নিকট আগমন করেন ; তিনিই কাশীখণ্ড অনুবাদের প্রধান উদ্যোগী। ঐ বৎসর ফাস্তুন মাসে নৃসিংহদেব রায়ের সহচর জগন্নাথ মুখোপাধ্যায় মহাশয় অনুবাদ কাৰ্য আরম্ভ করেন। রামপ্রসাদ বিদ্যাবাগীশ শ্লোক ভাঙ্গিয়া মুখে মুখে ব্যাখ্যা করিতেন, আর মুখোপাধ্যায় মহাশয় তাহারই পাতড়া করিতেন। নৃসিংহদেব রায় আবার তাহ! সংশোধন করিয়া লিখিয়া লাইতেন। ৪০ অধ্যায় পৰ্য্যন্ত অনুবাদ হইবার পর বিদ্যাবাগীশ মহাশয়ের কাশী প্রাপ্তি হয়। তৎপরে ১৭৯৩ অব্দে ভাদ্রমাসে মুখােপাধ্যায় মহাশয় স্বদেশীযাত্রা করেন। বৎসর কাল অনুবাদ কাৰ্য স্থগিত থাকিবার পর নৃসিংহদেব রায় বাঙ্গালীটােলায় গিয়া বাস করেন এবং বলরাম বাচস্পতি নামক জনৈক পণ্ডিত তীহার সহিত আসিয়া মিলিত হন। তিনি ৭৫ অধ্যায় পৰ্যন্ত অনুবাদ করেন "পঞ্চক্রোশী যাত্ৰা” ও “নগর ভ্রমণ” অংশও তাহার রচনা। অনন্তর বৎসরাবধি গ্রন্থ রচনা কাৰ্য স্থগিত থাকিবার পর রামচন্দ্ৰ বিদ্যালঙ্কার ও তৎপুত্ৰ উমাশঙ্কর তর্কালঙ্কার—এই দুই পণ্ডিত গ্ৰন্থ সমাপ্তির জন্য। गङ्गवान् श्न। शैशद्भ History of Protestant Missions in India. London 1884. Page 169.