১২০০ ভাগবত ব্যাখ্যায় দোষপ্রদর্শন। শ্ৰীনিবাসের ভাগবতব্যাখ্যা । বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় । সেদিন আইলা বাসা ব্রাহ্মণের ঘর। আর দিন পুনশ্চ যান রাজ-বরাবর। রাসপঞ্চাধ্যায় পড়ে সদর্থ না জানে। বসিয়া ঠাকুর কিছু করে নিবেদনে ॥ ব্যাস-ভাষিত এই গ্রন্থ ভাগবত । শ্ৰীধর-স্বামীর টীকা আছএ সম্মত ॥ কিবা বাখানহ ইহা বুঝন না যায়। ইহার অর্থ নাহি হয় পণ্ডিত প্রতি ভয় ॥ না শুনে পণ্ডিত রাজা তার পানে চায়। সেই দিনে ঘর আইলেন আর দিনে যায় ॥ সেই দিনেতে পঞ্চাধ্যায়ী পণ্ডিত বাখানে। অসঙ্গত অর্থ হৈল করে নিবেদনে ॥ পণ্ডিতের অর্থ শুনি রাজা আছে বসি। স্বামীর যে টীকা ব্যাখ্যা কহ না প্রকাশি ॥ পণ্ডিতের ক্রোধ হৈল রাজা তারে কয় । কিবা অর্থ কর ব্রাহ্মণ কেনে বা দোষয় ॥ পণ্ডিত কহে মহারাজা ভাগবতের অর্থ। আমা বিনা বাখানয়ে কাহার সামর্থ্য ৷ কোথাকার ক্ষুদ্র বিপ্র মধ্যে কহে কথা । কিবা বাখানিবে তুমি আসি বৈস হেথা ॥ রাজা বলে বাখানহ ব্ৰাহ্মণ-কুমার। ঠাকুর উঠিয়া কহে যে আজ্ঞা তোমার ॥ বসি বাখানয়ে মুখে পড়ে পুনৰ্ব্বার। এক শ্লোক বাখানয়ে কতেক প্রকার ॥ শুনিঞা রাজার চিত্তে পরম-উল্লাস । রাজার সাক্ষাতে বিপ্রের হৈল বড় ত্ৰাস ॥ প্রভুর নয়নে গলয়ে কত শত ধারায়। অবাক হৈল পণ্ডিত রহে বক-প্রায় ॥ পুনৰ্ব্বার শ্লোক পড়ে আনন্দ-আবেশে । বুঝাইয়া অর্থ করে অশেষ-বিশেষে । শুনিএ আনন্দ হয় রাজার অন্তর। সভাতে যতেক লোকের হৈল চমৎকার ॥
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪৮
অবয়ব