8 obళ বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় । food o History of Bengali Language & Literature পুস্তকের ৭৭৮ পৃষ্ঠায় দ্রষ্টব্য। পুথি খানি এখন না পাওয়ায়, শ্ৰীযুক্ত কৈলাসচন্দ্র সিংহ মহাশয়ের ত্রিপুরার ইতিহাসে উদ্ধত অংশটুকু মাত্র এখানে প্রদত্ত হইল । তবে গাজি যে সবারে দিল নাখেরাজ । পাকড়ি আনিল রাজা লইতে খেরাজ ॥ সকলে মিনতি করে মহারাজ-আগে । মহারাজ দোহাই দিয়া ক্ষমা-বর মাগে ॥ তছুদক খাই মোরা ফকীর খোনার। ভট্ট ব্রাহ্মণ মোরা পেসা নাই আর ॥ মহারাজা বলে তোরে কে দিল নিষ্কর। বলে দিছে হেন রজক সমসের ॥ এক পুরিয়া জমিদার দিল আমরারে (১)। পোস্তা পোস্তি হই তুমি চাহ ভাঙ্গিবারে । এতেক শুনিয়া রাজা হইল সুলজ্জিত । পাত্ৰগণ বুঝাইল রাজার বিদিত ॥ রায়ত হইয়া কর্তা দিয়াছে নিষ্কর। আপনি লইলে কর লজ্জা বহুতর ॥ তবে মহারাজ বহাল করিল সবারে । -- চন্দকান্ত । “চন্দ্রকান্ত” এক সময়ে বাঙ্গলার ঘরে ঘরে পঠিত হইত। ৭০৮বৎসর পূৰ্ব্বে এই পুস্তক প্রায় বিদ্যাসুন্দরের স্থান দখল করিয়া বসিয়া ছিল। ইহার প্রণেতা বৈদ্যবংশোদ্ভব গৌরীকান্ত দাস, গ্রন্থকারের নিবাস কলিকাতার অন্তর্গত সুতানটী গ্রামে। গৌরীকান্তের পিতার নাম মাণিকরাম দাস। কবি দেবীচরণ নামক কোন ব্যক্তির আশ্রয়ে বা উপদেশে এই পুস্তক শেষ করেন। চন্দ্রকান্ত নব-বিবাহিত স্ত্রীকে গৃহে রাখিয়া বাণিজ্য-উদ্দেন্তে গুজরাটে যান, তথায় কোন নৃপতির কন্সার রূপে মুগ্ধ (১) আমাদিগকে ।
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৬০
অবয়ব