পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ડેલવેર বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় | একদিন এক স্থলে ভূঙ্গে দেখি শিমুলে বলে ওহে ভৃঙ্গ বিরহিণী আমি। অলি কিছু বলি দুঃখে যদি আমায় কর রক্ষে কুলের পক্ষে বল্লাল সেন তুমি ॥ পিতা মাতা শক্র হয়ে বিশিষ্ট বর দেখে বিয়ে না দিয়ে ফেলেছে বীয়ে জলে। কাকে বলিব হায় হায় কাগে করে মারে ঘায় মনস্তাপে সদা অঙ্গ জলে ৷ বলব কারে শুনবে কেটা অভিমানে গা শিউরে কাটা কম্পজরে একজরী হলো । - সুজন বিনা সুধাখণ্ড মুলে হয়েছে লণ্ড ভণ্ড ভেবে ভেবে পেটে জন্মায় তুলো ॥ ভূতের বেগার খেটে খেটে শেষ কালেতে মরি ফেটে মুখ দেখান ভার হয়েছে লাজে। ভেবে ভেবে ওহে ভৃঙ্গ অসার হয়েছে অঙ্গ পড়িয়ে রয়েছি বনের মাঝে ॥ আমায় যদি জেতে তুলে যেতে পারিস ভ্রমরা। তবেই তোরে রসিক বলি নলিনীর মন-চোরা, কারে দুঃখ বলব যাছ, পড়ে থাকি মুধু স্বধু, * * * * আতঙ্কেতে অঙ্গ জরা ॥ ভ্রমর বলে সাম্লে কহিস ও সব কথা সইনে। শোন লো তুই শোন শোন, চুপ করে থাকি চারি সন, তবু অরসিকের সঙ্গে কথা কইনে ॥ অমন কথা সাধ্য কি যে আমায় বলে অন্তে । যেমন রাজ-পুত্র দেখে ক্ষিপ্ত কোটালের কন্তে ॥ তুই কি ছেড়া চেটায় শুয়ে দেখিলি লক্ষ টাকার স্বপন । যেমন লক্ষ্মণকে বিবাহ করতে শূৰ্পণথার মন ॥ কি জানি কপালের কথা ঐটে বুঝি বাকী। এখন তোমার সঙ্গে পীরিত করে পিরিলি হয়ে থাকি ৷ তখন শিমূল বুঝিয়ে মূল মলিন লজ্জায়। অবজ্ঞা করিএ অলি তীর্থবাসে যায়।