পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন সঙ্গীত—দাশরথি রায়—জন্ম ১৮০৪ খৃঃ। ১৫৭৩ প্রভাতে রাখালগণ কর্তৃক শ্ৰীকৃষ্ণের উদ্বোধন । কানাই একি ভাই রইলি প্রভাতে অচৈতন্ত । উঠিল ভানু ও নীলতনু যায় না ধেনু বেণু ভিন্ন ॥ অঞ্জন আখি-যুগলে, গুঞ্জ-হার পরয়ে গলে, কদম্ব-মুঞ্জরী পরি সাজাও যুগল কর্ণ। পর ধড়া মোহন চুড়া ব্রজের চূড়া ও নীলবর্ণ। রাখাল-সাজে রাখাল-মাঝে নেচে নেচে চল অরণ্য ॥ গা তুলে যাও শীঘ্ৰ সাজাও গোষ্ঠে যাবার রূপ-লাবণ্য। তোর কালো কায় দিক অলকায় করি চিহ্ন ॥ (১) সাধ করে তোয় সেধে বলি, যখন ক্ষুধায় আমি কালি, (২) তুই এনে মিলালি বনমালি বনে অন্ন ॥ একদিন বনে রাখালগণে বিষ-জীবনে জীবন-শূন্ত । দিলি জীবন জীবন-কানাই তুলনা নাই গুণে অন্ত । শ্ৰীকৃষ্ণ-কর্তৃক নারীগণের সৌভাগ্য ও স্থখ বর্ণন । কহিছেন চিন্তামণি পুরুষের সার ধন রমণী রমণী দুঃখিনী নয় জেন। পুরুষেতে যেমন সুখী আমায় দিয়ে দেখ না সখি হাতে পাজি মঙ্গলবার কেন ॥ নারীর নাই কোন ভার ভারের মধ্যে বদন ভার দেখলে পতির প্রাণ শুকিয়ে যায়। আমল করেন ঘরকন্না দেন পাওনার কথা ক’ন্‌ না জালার মূল হয়ে জালা স’ন্‌ না ৷ যত জ্বালা পুরুষের মাথায় ॥ পুরুষ করলে দান কি যাগ নারী পান তার পুণ্য-ভাগ পাপ করলে সে ভাগ এড়ান। পুরুষের ভারি মরণ অপকৰ্ম্ম অপহরণ নারীর কেবল কথায় কথায় মান ॥ (১) তোর কালো দেহে অলকার চিহ্ন করিয়া দিকৃ। সুগন্ধ চন্দনাদি দ্বারা কপোল, ললাট ও নাসাঞ্জে যে সকল চিত্র বিচিত্র চিহ্ন অঙ্কিত হইত, তাহাদিগকে “অলকা তিলকা” বলিত। - (২) ক্ষুধায় যখন আমি কালি (মলিন) হইয়া গিয়াছিলাম। .