〉ぐ。》8 বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় । না দেখিয়ে এক ক্ষণ, বৎসহীরা ধেনু যেন, কাদিয়ে ফিরিতেন পথে পথে ॥ কেমন আছে সখাগণ, যাদের সনে গোচরণ, করিতাম কানন-মাঝে সুখে । মরি! তাদের কতই প্রীতি, ছিল যে আমার প্রতি, খেয়ে ফল দিত মোর মুখে ॥ যত ব্ৰজ-গোপ-রামা, আমার পরাণ-সম, কেমন আছে আমা-হারা হয়ে ? কেমন আছে শ্রীরাধিকা, সে যে মোর প্রাণাধিকা, হিয়ার হেম-হার কোথা প্রিয়ে ? চন্দ্রা। বৃথা কথায় প্রয়োজন কি ? রাগিণী—সিন্ধুভৈরবী, তাল—একতাল। বলি থাকৃ, ও সে সব কথা থাক, ও সে সুখে খাক, কিম্বা দুখে থাকৃ, বেঁচে থাক্, থাক্ বা না থাকৃ, তার কথায় আর কায কি । তুমি ত শুমি মুখে আছ পেয়ে পরের রাজকী। চাতকিনী বারি বিনে, পিপাসায় মরিলেও প্রাণে, চেয়ে থাকে মেঘেরই পানে,— সে তাহাকে বধে প্রাণে শিরে পেড়ে বাজ কি ॥ তুলো না অবলার কথা, তার কথা কি বলার কথা, কথায় কথায় বাড়লে কথা, শুনতে হয় দু কথা। সুখীর কাছে দুঃখীর কথা, কহিলে লাগে বা কোথা, রয়েছ ভুলে যে কথা, কি ফল তুলে সে কথা, এ যে কথা কথারই কথা,— দেখে আমায় ব্রজের কথা মনে প’ল আজ কি ৷ যে গেছে সব তারই গেছে, কুল গেছে মান গেছে, রূপ গেছে লাবণ্য গেছে, প্রাণ যেতে বসেছে, তায় তোমার কি ব’য়ে গেছে, আরো বিষয় বেড়েছে, পাচ পদে যে ব্যাপার করে, এক পদে যদি সে হারে, হানি কি সে জানিতে পারে, সে কথা সুধাই তোমারে বল রসরাজ কি ৷
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৭০
অবয়ব