পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আবদুল লতিফ আবদুল লতিফ গভর্নমেন্টের অতীব প্রিয়পাত্র ছিলেন। তখনকার রক্ষণশীল সমাজ যে-কোনো নূতন ব্যবস্থাকেই সন্দেহের চক্ষে দেখিত, কিন্তু আবদুল লতিফের মধ্যস্থতার ফলে এই বিরুদ্ধভােব প্রশমিত হইত। মুসলমান ওয়াহাবি সম্প্রদায় একবার গভর্নমেন্টের বিরুদ্ধে প্রচার কার্য আরম্ভ করে (১৮৭০ খ্রিঃ)। আবদুল লতিফ তৎক্ষণাৎ প্রতিবাদইস্তাহার ও সভাসমিতির দ্বারা তাহার প্রতিরোধ করেন। ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে তুরস্কের সহিত সার্ভিয়া প্রমুখ রাজ্যগুলির মনোমালিন্য উপস্থিত হইলে ভারতবর্ষের মুসলমানগণের তুরস্কের পক্ষে আন্দোলন ক্রমশ এক সমস্যার সৃষ্টি করায়, আবদুল লতিফ তাহার স্বজাতীয়গণকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভােব অবলম্বন করিতে ও চাঁদা দ্বারা তুরস্ককে সাহায্য করিতে অনুরোধ করিয়া নানাস্থানে আলোচনাদি আরম্ভ করেন। তাহার এই দূরদশী আন্দোলন ভারত সরকার ও তুরস্কসরকারকে প্রভূত সাহায্য করে এবং তুরস্কসুলতান তাহাকে এতদুপলক্ষে সম্মান-সূচক উপাধি প্ৰদান করেন (Order of Medjidi)। এতদিন অবধি আবদুল লতিফ মৌলবি হিসাবেই পরিচিত হইতেন। ১৮৭৭ খ্রিস্টাব্দে দিল্লির দরবারে মহাসম্রাজ্ঞীর ঘোষণাবাণী উপলক্ষে তিনি “Empress’ পদক ও খাঁ বাহাদুর উপাধি লাভ করেন। ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে কলিকাতার টাউনহলে মুসলমান সাহিত্য সমিতির দ্বিতীয় বার্ষিক অধিবেশনে ছোটলাট স্যার বিডন গভর্নমেন্টের পক্ষ হইতে র্তাহাকে প্রকাশ্য ধন্যবাদ ও একখানি স্বর্ণপদক উপহার দিয়া সম্মানিত করেন। ঐ সভাতে বড়লাট স্যার জন্য লরেন্স প্রেরিত শিক্ষাবিস্তারকল্পে তাহার এই অক্লাস্ত চেষ্টার উল্লেখলিপি ও এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকার সম্পূর্ণ গ্রন্থ তঁহাকে উপটৌকন প্রদত্ত হয়। isiNr 7TROJ 7ffD5 (Mohammedan Literary Society) ŠRET ERNS কীর্তি। ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে তাহার গৃহে ইহার প্রথম অধিবেশন হয়। তদবধি নানাস্থানে ইহার শাখাসমিতি স্থাপিত হইয়া মুসলমান সমাজের সর্ববিষয়ে আলোচনার কেন্দ্ৰ হইয়া উঠে। বিলাতের হাউস অব কমন্স হইতে ভারতের অর্থ ও রাজস্ব সম্বন্ধে একটি তদন্তকমিটি গঠিত হয় (১৮৭৮ খ্রিঃ)। বড়লাট লর্ড লরেন্স, আবদুল লতিফাকে ভারতীয় মুসলমানগণের প্রতিনিধি হিসাবে সাক্ষ্য-প্রদানকল্পে বিলাত যাইতে অনুরোধ করেন। অত্যািক্সকাল মধ্যেই সে পার্লামেন্ট ভাঙিয়া যাওয়ায় এ বিষয়ে আর অধিক দূর অগ্রসর श्श क्राष्ट्रि। ইহার দুই বৎসর পরে তিনি নবাব এবং আরও একবৎসর পরে সি-আইই উপাধি প্রাপ্ত হন। ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে গভর্নমেন্ট তাঁহাকে নবাব বাহাদুর-এই শ্রেষ্ঠ উপাধি প্ৰদান করেন । ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দে প্রেসিডেন্সি কলেজ স্থাপন আন্দোলনে আবদুল লতিফ বিশেষ উদ্যোগী ছিলেন। মহম্মদ মহসীন ফন্ডের অর্থ যাহাতে মুসলমানগণের মধ্যে উচ্চশিক্ষা বিস্তারে ব্যয় হয় তদবিষয়ে তিনি গভর্নমেন্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ও তাহার ফলে বঙ্গ-গৌরব-৭