পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

እb” বঙ্গ-গৌরব এই ফন্ডের বহু সংস্কার* সাধিত হয়। তখন হইতে বাংলার যে-কোনো স্থানে মুসলমান ছাত্রকে স্কুলের বা কলেজের বেতনের দুই-তৃতীয়াংশ ঐ ফান্ড হইতে অদ্যাবধি দেওয়া হইতেছে। এই ফন্ডের সাহায্যে রাজসাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রামের মাদ্রাসা স্থাপিত হয়। ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভূপাল রাজ্যের মন্ত্রিত্ব” গ্রহণ করেন। রাজ্যের আভ্যন্তরিক অবস্থা তখন বড়ই সঙিন ও সঙ্কটপূৰ্ণ ছিল। তথাপি তিনি যখন তাহার কর্তব্য শেষ করিয়া কয়েক মাস পরে ফিরিয়া আসিলেন তখন বেগমসাহেবা হইতে সেখানকার সকলেই এবং ভারত-সরকারও তাহার দক্ষতার ভূয়সী প্রশংসা করেন। এইস্থানে বিশেষ উল্লেখযোগ্য বিষয় এই যে, মাত্র একদিনের বিজ্ঞাপনে এইরূপ কার্যের ভার তাহাকে গ্ৰহণ করিতে হয়। এইরূপভাবে এই দুরূহ কাৰ্য গ্ৰহণ আবদুল লতিফের পক্ষেই সম্ভব হইয়াছিল। ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দের ১৮ই জুলাই তারিখে তিনি দেহত্যাগ করেন;** তাহার মৃত্যুতে দেশ শোকসাগরে নিমজ্জিত হয়। নানাস্থানে শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। দেশবিদেশের সংবাদপত্রাদিতে র্তাহার সংক্ষিপ্ত জীবনী ও কার্যাবলি প্রকাশিত হয়। বিলাতের টাইমস’ পত্ৰও দীর্ঘ সম্পাদকীয় মন্তব্য লিপিবদ্ধ করেন। বাংলার লাট লর্ড কারমাইকেল কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেট হলে ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে তাহার প্রতিমূর্তি উন্মোচন করেন। তদুপলক্ষে দেশের সমগ্র নেতৃবৃন্দ হিন্দু-মুসলমান, পারশি, জৈন, খ্রিস্টান, দেশীয় কর্মীকে দেশ। কখনই ভুলিতে পরিবে না। রাসবিহারী ঘোষ পরীক্ষায় সর্বোচ্চ স্থান অধিকার করা যে! কি ক্ষমতাসাপেক্ষ তাহা অনুমান করিতে পারিলে অনেকেই বুঝিতে পরিবেন যে রাসবিহারী ঘোষ কি উপাদানে গঠিত হইয়াছিলেন। তাহার কর্মজীবন যে কি ভাবে গঠিত হইবে, ছাত্রজীবনের এই ঘটনাই তাঁহা সুস্পষ্টরূপে সূচিত করিয়াছিল। বি. এ. পরীক্ষার ফল খুব ভাল হইবে না মনে হইয়াছিল। বহুদিন ম্যালেরিয়া জুরে ভুগিবার ফলে ভালরূপ অধ্যয়ন করিবার সুযোগ তিনি পান নাই। মাঝে মাঝে যতদূর প্রস্তুত হইতে পারিয়াছিলেন তাহারই উপর নির্ভর করিয়া এবং পরীক্ষার সতেরো দিন মাত্র পূর্বে আরোগ্য লাভ করিয়া আঁহাকে পরীক্ষা দিতে হইয়াছিল ; পরে দেখা গোল যে তিনি দ্বিতীয় স্থান অধিকার করিয়াছেন! আবার ইহার ঠিক এক বৎসর পরে ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি প্রথম শ্রেণির অনার্স