পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS O বঙ্গ-গৌরব ঢাকা, মৈমনসিংহ ও বাখরগঞ্জ জেলার শিক্ষা-বিস্তার-কল্পে নবাব খাজে আবদুল গনি অজস্র অর্থব্যয় করিয়াছিলেন। পূর্ববঙ্গের হাসপাতাল ও দাতব্য চিকিৎসালয়গুলিতে তিনি বহু অর্থ সাহায্য করিয়াছিলেন। ঢাকায় তিনি একটি অতিথিশালা প্রতিষ্ঠিত করিয়া প্রত্যহ বহু ব্যক্তিকে অন্ন দান করিতেন। আর্ত, প্রাধী তাহার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করিয়া কখনও বিমুখ হয় নাই। ঢাকার পার্শ্বস্থ বুড়ীগঙ্গার বন্যার উৎপাত নিবারণার্থ নবাব সাহেব বাঁধ নির্মাণ করাইয়া দেন। ১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দের ৬ আগস্ট লর্ড নৰ্থব্রুক তাহার ভিত্তিপ্ৰস্তর স্থাপন করেন এবং ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার উহার উদ্বোধন করেন। নবাব আবদুল গনি যদি আর কিছু নাও করিতেন, তথাপি একমাত্ৰ জলের কল-যাহার কল্যাণে ঢাকাবাসী পরিশ্রুত জলপান করিয়া তৃপ্ত হইতেছে-ঢাকাবাসীর নিকট র্তাহার নাম শ্রদ্ধাভরে চিরস্মরণীয় করিয়া রাখিত। আয়ার্ল্যান্ডে দুর্ভিক্ষের সময় নবাব সাহেব ৬০০০ টাকা দুর্ভিক্ষ তহবিলে দান করেন এবং মক্কার জোবেদা খাল সংস্কারার্থে ৪০০০০ টাকা সাহায্য করেন। ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে নবাব সাহেব বঙ্গীয়া ব্যবস্থাপক সভার সদস্য এবং ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে বড়লাটের ব্যবস্থাপক সভার অতিরিক্ত সদস্যের পদে নিযুক্ত হন। ১৮৭১ খ্রিস্টাব্দে তিনি সি. এস. আই এবং ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে ব্যক্তিগতভাবে নবাব উপাধিতে ভূষিত হন। তদানীন্তন প্ৰিন্স অব ওয়েলস ভারত-ভ্ৰমণ উপলক্ষে কলকাতায় আগমন করিলে লর্ড নর্থব্রুক নবাব সাহেবের সহিত তাহার সাক্ষাৎ আলাপ করাইয়া দেন এবং যুবরাজ নবাব সাহেবকে সমাদরের সহিত গ্ৰহণ করিয়া তাহার ভারত-ভ্রমণের স্মৃতিচিহ্ন স্বরূপ তাহাকে একটি পদক উপহার দেন। দিল্লির দরবারে খাজে আবদুল গনি বংশানুক্ৰমিক নবাব উপাধি প্রাপ্ত হন। এই উপলক্ষে তাহার উপযুক্ত পুত্র আসানুল্লা ব্যক্তিগতভাবে নবাব উপাধি লাভ করেন। নবাব খাজে আবদুল গনি ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে কে. সি. এস. আই উপাধি প্রাপ্ত হন। তিনি অশ্বারোহণে সুদক্ষ ছিলেন। পাশ্চাত্য ধরনের খেলাধূলাতেও তাঁহার উৎসাহের সীমা छिल्ल न्ा ! সন ১৩০৮ সালের ১ পৌষ এই মহানুভব ব্যক্তি মহাপ্রস্থান করেন।