পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মতিলাল ঘোষ SSW সম্ভবপর নহে, তখন কিছুদিনের জন্য উহা বন্ধ করিয়া পরে কলিকাতায় আসিয়া আবার তাহা বাহির করিয়াছেন (১৮৭১-৭২ খ্রিস্টাব্দ)। এই সময়ে উহা একসঙ্গে ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষায় বাহির হইতে থাকে। কিছুদিন পরে ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে ‘প্রেস অ্যাক্ট পাশ হয়। সে আইনে বাংলা ভাষায় পত্রিকা প্ৰকাশ করা একদিনও সম্ভবপর নহে। রাতারাতি কাগজখানিকে তাহারা সম্পূর্ণরূপে ইংরেজি কাগজে পরিবর্তিত করেন। অমৃতবাজার ইংরেজি সাপ্তাহিক রূপে প্রকাশিত হইতে লাগিল। তঁহাদের অফিস তখন বহুবাজারে হিদারাম ব্যানার্জির গলিতে ৭ পরে পত্রিক অফিস বাগবাজারে স্থানান্তরিত হয়।।৫ এই সময় হইতে মতিলাল দেশে সকল আন্দোলনে লেখনী সঞ্চালন করেন এবং সর্ববিষয়েই তিনি দেশকে সর্ব প্রকারে সাহায্য করিতে থাকেন। অমৃতবাজার পত্রিকা দ্রুতগতিতে সমগ্ৰ ভারতবর্ষের মুখপত্ররূপে দণ্ডায়মান হয়। ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে ১৯ ফেব্রুয়ারি হইতে ‘অমৃতবাজার” দৈনিক পত্রিরূপে দেখা দেয়। মতিলাল পরম বৈষ্ণব ছিলেন। অগ্রজ মহাত্মা শিশিরকুমারের সহিত নাম-কীর্তনে তিনি প্রায়ই বাহ্যজ্ঞান বিরহিত হইতেন। স্বল্পভাষী মতিলাল বক্তৃতা খুব কমই করিতেন। সভা-সমিতিতে তাহার উপস্থিতিই প্ৰকাণ্ড শক্তিস্বরূপ মনে হইত। যদি কোথাও কখনও তিনি বক্তৃতা করিতেন, তাহা অতি অল্প কথায় এমন সুযুক্তিপূর্ণ ও শ্রুতিমধুর হইত যে শ্রোতৃবৃন্দ মুগ্ধ হইয়া যাইতেন। তঁহার লেখনীও তদ্রািপ শক্তি বিতরণ করিত। গুরুত্বপূর্ণ গস্ট্রীর বিষয়েও তিনি সমভাবে লেখনী চালনা করিতেন। সন ১৩২৯ সালের ২৫ ভাদ্র (ইং ১৯১২) এই অনন্যকর্ম স্বদেশসেবক ও সাংবাদিক, নিষ্ঠাবান বৈষ্ণব মহাপ্ৰয়াণ করেন। বঙ্গ-গৌরব-৮