পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ Σ. Κυ বঙ্গ-গৌরব করিয়াছিলেন। ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে তাহাকে সোসাইটির আজীবন সহকারী সভাপতি করা হয় এবং ইহার পর দুই বার তিনি সোসাইটির সভাপতি নির্বাচিত হইয়াছিলেন। ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দে হরপ্রসাদ নৈহাটি মিউনিসিপ্যালিটির কমিশনার নির্বাচিত হন। তিনি কয়েক বৎসর উক্ত মিউনিসিপ্যালিটির ভাইস চেয়ারম্যান এবং চেয়ারম্যানের কার্যও করিয়াছিলেন। কিন্তু সাহিত্য-সাধনায় বিঘ্ন হওয়ায় তিনি মিউনিসিপালিটির কার্য ত্যাগ করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন।** ১৩০৩ সালে শাস্ত্রী মহাশয় বঙ্গীয় সাহিত্য পবিষ্যদের সদস্য নির্বাচিত হন। তাহার পর তিনি ১৪ বার উহার সহকারী সভাপতি এবং ১৩ বার উহার সভাপতি নির্বাচিত হইয়াছিলেন। কলিকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সারদাচরণ মিত্ৰ ২১ মহাশয়ের সহিত একযোগে তিনি বুদ্ধ গয়ার মন্দিরের বিবরণ প্রস্তুত করিয়াছিলেন। প্রাচীন পুস্তক ও পুথি সংগ্রহের জন্য তিনি চার বার নেপালে ২২ গমন করিয়াছিলেন। ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে সিমলায় প্রাচ্য বিদ্যাবিদগণের সম্মিলনে যোগদান করিয়া তিনি সংস্কৃত শাস্ত্রের উন্নতি সম্পর্কে গভর্নমেন্টকে যে পরামর্শ দিয়াছিলেন, তাহাতে সন্তুষ্ট হইয়া গভর্নমেন্ট তাহাকে সি. আই ই উপাধিতে ভূষিত করিয়াছিলেন। তৎপূর্বে ১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি “মহামহােপাধ্যায়” উপাধি লাভ করিয়াছিলেন এবং ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তঁহাকে সম্মানসূচক ডি.লিট উপাধি প্ৰদান করিয়াছিলেন। ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে রাজকীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কর্তা স্যার জন মার্শাল সাহেবের অনুরোধে তিনি বারো হাজার পুথি ক্রয় করিয়াছিলেন। সেগুলি এখন কলকাতার ‘ইণ্ডিয়ান মিউজিয়ামে’ রক্ষিত আছে। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় তিনবার বঙ্গীয় সাহিত্য সম্মিলনের মূল সভাপতি নির্বাচিত হইয়াছিলেন-প্ৰথম ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে বর্ধমানে; সেবার তিনি সাহিত্য শাখারও সভাপতি ছিলেন। দ্বিতীয়বার ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে হেতমপুরে এবং তৃতীয় ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে রাধানগরে। তাহা ছাড়া ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি কলিকাতায় বঙ্গীয় সাহিত্য সম্মিলনের অভ্যর্থনা সমিতির সভাপতি হইয়াছিলেন এবং ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে মেদিনীপুর সাহিত্য সম্মিলনের সভাপতিত্ব করিয়াছিলেন। ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে কলিকাতায় নিখিল ভারত হিন্দু সভার সভাপতি, ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে মথুরায় নিখিল ভারত সংস্কৃত কংগ্রেসের সভাপতি ও ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে লাহােরে ওরিয়েন্টাল কংগ্রেসের সভাপতিও তঁহাকেই হইতে হইয়াছিল। এইবার অসুস্থ দেহ লইয়াও তিনি লাহােরে গমন করিয়াছিলেন। ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে তীহাকে বৃহত্তর ভারত পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত করা হইয়াছিল এবং ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে তিনি রবীন্দ্রজয়ন্তী উৎসবের উদ্বোধন সভায় সভাপতি হইয়াছিলেন । ১৩১৬ সালে “বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ’ শাস্ত্রী মহাশয়কে পরিষদের বিশিষ্ট সদস্য