পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবপ্ৰসাদ সর্বাধিকারী স্যার দেবপ্রসাদ সর্বাধিকারী মহাশয়ের কথা বলিতে গেলেই তাঁহার বংশগীেরবের কথাই সর্বাগ্রে বলিতে হয়। একই বংশে, দুই তিন পুরুষের মধ্যে, এত অধিকসংখ্যক সম্মানিত ব্যক্তির জন্ম সাধারণত দেখা যায় না। বিদ্যার ও যশের গৌরবে এমন গৌরবান্বিত বংশ বাংলাদেশে আর বেশি নাই বলিলেই হয়। একটি মাত্র উদাহরণে এই গৌরবের কথা সুস্পষ্ট বুঝা যায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেট সভায় এককালীন ছয় জন সদস্য বাংলার অপর কোনাে বংশে জন্মগ্রহণ করেন নাই। সর্বাধিকারী বংশের প্রসন্নকুমার, সূৰ্যকুমার, রাজকুমার, দেবপ্রসাদ, সুরেশপ্রসাদষ্ট ও জ্যোতিঃপ্ৰসাদ৫-এই ছয় জনই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেট সভার সদস্য হইয়া বাংলাদেশে শিক্ষণ বিস্তারের সহায়তা করিয়া গিয়াছেন। দেবপ্রসাদ এই বংশে জন্মগ্রহণ করিয়া বংশকে আরও গৌরবোজজুল করিয়াছেন। লোকে সাধারণত অর্থে পাৰ্জন লইয়াই জীবনের অধিকাংশ সময় অতিবাহিত করিয়া থাকেন। দেবপ্রসাদ অ্যাটর্নি ব্যবসায়ে প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছিলেন। যাহারা কৃতী অ্যাটর্নিগণের জীবনকথা আলোচনা করিয়াছেন, তাহারা জানেন যে এই ব্যবসায়ে লিপ্ত ব্যক্তিগণের কার্যের দায়িত্ব কত অধিক এবং কিরূপ কঠোর পরিশ্রম করিয়া তাহাদিগকে অর্থাজন করিতে হয়। কিন্তু সেই কার্যের মধ্যেও স্যার দেবীপ্রসাদ বহু জনহিতকর ও দেশহিতকর কার্যে যোগদান করিবার অবসর করিয়া লইতেন। তিনি যে-সকল প্রতিষ্ঠানের সহিত সংশ্লিষ্ট ছিলেন, তাহদের কয়েকটির নামের তালিকা নিম্নে প্রদত্ত হইল। এই তালিকা হইতে র্তাহার বহুমুখী কর্মপ্রতিভার বিষয় কতকটা অবগত হওয়া যায় ঃ-কলিকাতা সোসাইটি, ইণ্ডিয়ান মিউজিয়াম, কলিকাতা ইউনিভারসিটি ইনিস্টিটিউট, রেফিউজ, গীতা সভা, মাদকতা নিবারণী সভা, বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের পরিচালন সভা, ইণ্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েসন, ব্রিটিশ ইণ্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন, ইণ্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস, ইনকর্পোরেটেড ল সোসাইটি, সংস্কৃত সাহিত্য-পরিষদ, বৌদ্ধবিহার, বিলাতের ইউনিভারসিটি কংগ্রেস, লর্ড লিটনের সন্টুডেন্টস কমিশন, হেগ মরাল এডুকেশন লীগ, দক্ষিণ আফ্রিকায় গভর্নমেন্টের ডেপুটেশন, জেনিভায় জাতিসংঘ, ঢাকা, দিল্লি ও কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেট সভা, বেঙ্গল কাউন্সিল, কাউন্সিল অব স্টেট প্রভৃতি। এই সকল প্রতিষ্ঠানের কার্যে যোগদান ও কার্য পরিচালন ব্যবস্থা করিয়াও সর্বাধিকারী মহাশয় সাহিত্য-চৰ্চার অবসর করিয়া লইতেন। তিনি বাংলা ও ইংরেজি বহুসংখ্যক সাময়িক পত্রের নিয়মিত লেখক ছিলেন। তিনি “প্রবাস পত্র’, ইউরোপে তিন মাস’, ‘দক্ষিণ