পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/২১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SAV বঙ্গ-গৌরব রচনা করে খ্যাতিলাভ করেছিলেন। তিনি শুধু বায়রনের জীবনী লেখেননি, তার রচনাবলিও সম্পাদনা করেছেন। ১৯. মেরি কাপেন্টার ; এই মহিয়সী নারী ব্রিস্টলে রামমোহনের অসুস্থতার সময়ে যথেষ্ট পরিচর্যা করেছিলেন এবং ‘The last days in England of Raja Rammohun Roy’ গ্ৰন্থ লিখে তার ভারত শ্ৰীতির পরিচয় দিয়েছেন। ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভারতে এলে কেশবচন্দ্রের সহিত সাক্ষাৎ করেন। কেশবচন্দ্ৰ। ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে ব্রিস্টলে গেলে র্তার গৃহে আতিথ্য লাভ করেছিলেন। ২০. মেরি ক্যাসল : ব্রিস্টলের বিখ্যাত ক্যাসল পরিবারের বিদুষী তরুণী। ২১. ডেভিড হেয়ার ও তার ভগিনী ; রামমোহন যখন ব্রিস্টলে অসুস্থ হয়ে পড়েন তখন তীর সেবা শুশ্ৰষা করার জন্য মেরি কাপেন্টার ছাড়াও ভারতবন্ধু হেয়ারের ভগিনী ও উপস্থিত ছিলেন। রামমোহনের জীবনীগ্রন্থে তাকে কোথাও তার মেয়ে, কোথাও বোন, কোথাও ভাইঝি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু অধ্যাপক দিলীপকুমার বিশ্বাস মেরি কাপেন্টারের উক্তি তুলে দিয়ে প্রমাণ করেছেন, “ডেভিড হেয়ারের ভ্রাতুষ্পপুত্ৰী শ্ৰীমতী জ্যানেট হেয়ার ইংল্যান্ডে রামমোহনের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে এসেছিলেন এবং মৃত্যুশয্যায় তার সেবা করেছিলেন।” ২২ দ্বারকানাথ ঠাকুর (১৭৯৪-১.৮.১৮৪৬) : জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির সস্তান। পৈতৃক সম্পত্তি ছাড়াও নিজেও সম্পত্তি ক্রয় করেছিলেন। আইন ব্যবসায় শুরু করেন। সরকার কর্তৃক ১৮২৩ খ্রিস্টাব্দে ২৪ পরগনার নিমক মহলের কালেক্টরের দেওয়ান পদে নিযুক্ত হন। ১৮৩৪ খ্রিঃ সরকারি কাজ ছেড়ে দিয়ে ‘কার ও ঠাকুর কোম্পানির’ যুগু মালিকানায় রেশম ও নীল রপ্তানি করে, কয়লা খনি কিনে, জাহাজি ব্যবসায়ের পত্তন করে, চিনির কােল স্থাপন করে, যাত্রীবাহী জাহাজ চলাচলের ব্যবসা করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন। রামমোহনের বন্ধু ছিলেন, সতীদাহ রদ আইনের ও ব্রাহ্মসমাজের সমর্থক ছিলেন। ‘বেঙ্গল হরকরা’, ‘বেঙ্গল হেরাল্ড’, ‘বঙ্গদূত’ প্রভৃতি পত্রিকায় তঁর মালিকানা ছিল। ২৩. আরনোস ভেল ৪, ২৭ সেপ্টেম্বর ১৮৩৩-এ রাও আড়াইটার সময় রাজা রামমোহন শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। ১৮ অক্টোবর স্টেপলটন গ্রোভে র্তাকে সমাহিত করা হয়। দশ বছর পর দ্বারকানাথ ঠাকুর লন্ডনে গেলে তিনি স্টেপলটন থেকে রামমোহনের দেহ সরিয়ে এনে ব্রিস্টটলের কাছাকাছি, আরনোস ভেলী’ নামে আর এক জায়গায় সমাধিস্থ করেন। তিনি তার ওপরে তৈরি করে দেন অপূর্ব এক মন্দির। cप्रदक्षनाथ ठाकू ১. প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর ঃ (১৭৯৪-১.৮, ১৮৪৬)। জ্যেষ্ঠতাত রামলোচনের দত্তক পুত্র। শিক্ষক শেরবোর্ন সাহেবের স্কুলে ও উইলিয়াম অ্যাডামের কাছে ইংরেজি শিক্ষাগ্ৰহণ করেন। ফরাসি ভাষা ও জানতেন। আইন শাস্ত্ৰ আয়ত্ত করে কিছুদিন আইন ব্যবসা করেছিলেন। সরকার কর্তৃক ১৮২৩ খ্রিস্টাব্দে চব্বিশ পরগনার নিমক মহলের কালেক্টরের দেওয়ানের পদ লাভ করেন। দু' বছর পর তিনি শুষ্ক, লবণ ও অহিফেন বোর্ডের দেওয়ান