পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/২২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টীকা ও প্রাসঙ্গিক তথ্য Sbre সসম্মানে উত্তীর্ণ হন। ইনি ইংল্যান্ডের রাজনীতি ক্ষেত্রে ৬০ বছর কল অতিবাহিত করেছিলেন। ইনি ১৮৬৮, ১৮৮০ এবং ১৮৮৬ এই তিনবার ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। তিনি গ্রিক, ল্যাটিন, ফরাসি প্রভৃতি বহু ভাষা জানতেন। তিনি ইংল্যান্ডের রাজনীতির উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন। ১৩ ডিন স্ট্যানলি ৪ প্রধান পাদরি বা ধর্মযাজক। কেশবচন্দ্রের বিশেষ অনুরাগী छेिब्लन् ! ১৪. মহারাণী ভিক্টেরিয়া (১৮১৯-১৯০১) ঃ ভূতপূর্ব ভারতেশ্বরী। জন্ম ১৮১৯ এর ২৪ মে। পিতৃব্য চতুর্থ উইলিয়ম নিঃসন্তান অবস্থায় মারা গেলে, ইনি আইন অনুসারে ১৮৩৭ এর ২১ জুন সিংহাসন লাভ করেন ও তার অভিষেক হয় ২৮ জুন তারিখে। প্রিন্স অ্যালবার্টের সহিত। ১৮৪০ এর ২০ ফেব্রুয়ারি তার বিবাহ হয়। সিপাহি বিদ্রোহের পর তিনি ভারতের শাসনভার আপনি হস্তে গ্রহণ করেন। ১৮৭৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভারতেশ্বরী উপাধিগ্রহণ করেন। সম্রাট সপ্তম এডওয়ার্ড তীর দ্বিতীয় পুত্র। সুদীর্ঘ ৬৪ বছর তিনি রাজ্যশাসন করেন। ১৯০১ এর ২২ জানুয়ারি তিনি লোকান্তরিত হন। ১৫. কুচবিহারের মহারাজা : ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দের ৯ ফেব্রুয়ারি "ইণ্ডিয়ান মিরর’ কাগজে প্রকাশ্যভাবে ঘোষণা করা হয় যে, কেশবচন্দ্রের জ্যেষ্ঠা কন্যা সুনীতিদেবীর (১৩) সঙ্গে কুচবিহারের রাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণের (১৫) বিবাহ হবে। এই বিবাহ ১৮৭৮ এর ৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়। ১৬. অপ্ৰাপ্তবয়স্ক কন্যা : এখানে কেশবচন্দ্র সেনের জ্যেষ্ঠা কন্যা সুনীতি দেবীর উল্লেখ করা হয়েছে। ১৭. ভিক্টেরিয়া কলেজ : ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে ভারত সংস্কার সভার অধীনে কেশবচন্দ্ৰ মেট্রোপলিটান ফিমেল স্কুল স্থাপন করেন। কেশবচন্দ্ৰ নারীজাতির স্বাধীনতা ও উন্নতির সমর্থক হলেও ছেলেমেয়েদের একই ধরনের শিক্ষার পক্ষপাতী ছিলেন না। এজন্য স্ত্রীদের উপযোগী বিশেষ শিক্ষা প্রবর্তনের উদ্দেশ্যে ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দের ১ মে ১০ নং আপার সাকুলার রোডে একটি স্ত্রীবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এটিই দ্বিতীয় বছর থেকে ভিক্টেরিয়া কলেজ’ নামে অভিহিত হয়। ১৮ ভারতসংস্কার সভা : ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দের ২ নভেম্বর কেশবচন্দ্রের উদ্যোগে ভারতসংস্কার সভা (Indian Reform Association) প্রতিষ্ঠিত হয়। ভারতবাসীর সামাজিক ও নৈতিক উন্নতিসাধন এই সভার উদ্দেশ্য ছিল। এই সভায় ছিল পাঁচটি বিভাগ-(১) সুলভ সাহিত্য প্ৰকাশ (২) দুঃস্থ ব্যক্তিদের দান (৩) নারীজাতির উন্নতি সাধন (৪) সাধারণ শিক্ষা, শিল্পবিদ্যালয়ও শ্রমজীবীদের জন্য বিদ্যালয় (৫) সুরাপান নিবারণ। মূল সভার সভাপতি ছিলেন কেশবচন্দ্র স্বয়ং, সম্পাদক ছিলেন গোবিন্দচন্দ্র ধর, আর প্রত্যেকটি বিভাগের একজন করে সভাপতি ও সম্পাদক ছিলেন।